টিটাগড়ে ‘SIR আতঙ্কে’ মৃতের বাড়িতে অভিষেকের টিম, পরিবারকে আর্থিক সাহায্য
প্রতিদিন | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাকপুর: এসআইআর ‘আতঙ্কে’ রাজ্যে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও কম হচ্ছে না। শাসকদলের অভিযোগ, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের ফলে বহু ভোটারের নাম বাদ পড়া নিয়ে বিজেপি নেতাদের ‘জ্বালাময়ী’ ভাষণই এসব মৃত্যুর কারণ। আর বিজেপির পালটা অভিযোগ, তৃণমূল ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে। তবে এসব রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে শনিবার স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে বিশেষ কমিটি গড়ে দিয়েছেন দলনেতাদের নিয়ে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। আর নির্দেশ পাওয়ামাত্রই কাজে নেমে পড়েছে তাঁর টিম। টিটাগড়ে মৃত কাকলি সরকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, সাংসদ পার্থ ভৌমিকরা। পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল অর্থ। শশী পাঁজার অভিযোগ, বিজেপি নেতাদের ভয় দেখানো কথাবার্তা শুনেই কাকলি এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন।
রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এই কদিনে আতঙ্কের জেরে নাগরিকের মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ ছুঁইছুঁই। সেই তালিকার একজন টিটাগড়ের কাকলি সরকার। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের নাম না দেখে আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের। সেই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে শনিবার সেখানে গেলেন অভিষেকের টিম। নারী ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা, বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বারাকপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস, পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ দপ্তরের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলামরা গেলেন বারাকপুরের কে জি স্কুল রোডের ওই বাড়িতে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেন। সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিরা।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে শশী পাঁজার বক্তব্য, ”স্রেফ আতঙ্কের জেরে অসময়ে একটা প্রাণ চলে গেল। কাকলির বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বললাম। ওর দুই মেয়ে আছে। ওর স্বামী সবুজের চিকিৎসা চলছে। পরিবারের থেকে শুনলাম, টিভিতে ও বিজেপি নেতাদের ভয় দেখানো সব কথা শুনত আর আতঙ্কে ভুগত, যদি ওকে দেশ থেকে বাইরে চলে যেতে হয়। ভয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আমরা বলেছি যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আপনাদের পাশে আছি, থাকব। মেয়েরা পড়াশোনা করুক, ভালো থাকুক। যা যা খরচ দরকার, আমরা দিয়ে গেলাম।”