• লালবাজারের অফিসার সেজে প্রতারণা, বর্ধমানে ধৃত মুর্শিদাবাদের যুবক
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ নভেম্বর ২০২৫
  • লালবাজারের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তল্লাশির নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। তবে স্থানীয়দের তৎপরতায় মেমারি থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম মণিরুল শেখ ওরফে মণি। বয়স প্রায় ৩০। ধৃতের বাড়ি মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর এলাকায়।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মেমারির পালসিট ফাঁড়ি এলাকার ভৈটা গ্রামে এক আদিবাসী মহিলা কাকলি হেমব্রমের বাড়িতে হাজির হন মণি। নিজেকে ‘লালবাজারের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার’ পরিচয় দিয়ে একটি নকল পরিচয়পত্রও (আই-কার্ড) দেখান তিনি। তারপর ঘরে তল্লাশি শুরু করেন।

    অভিযোগ, ঘরে থাকা পোস্ত ও অন্যান্য সামগ্রীর বিল দেখতে চান মণি। এরপর কাকলি জানান, সেগুলি স্থানীয় দোকান থেকেই কেনা। সেই সময় মণি হুমকি দেন, ১০ হাজার টাকা না দিলে তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে জেলে পাঠানো হবে। ভয়ে কাকলি হেমব্রম মণিকে এক হাজার টাকা দেন।

    পরে গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানান তিনি। পরে জানা যায়, ওই যুবক আরও দুটি বাড়িতে গিয়ে একই কায়দায় ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেছেন। এরপরই গ্রামের বাসিন্দারা মণিকে খুঁজতে শুরু করেন। স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে লুকিয়ে থাকতে দেখে তাঁকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। এরপর ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    মেমারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতারণা ও ভুয়ো পরিচয় ব্যবহারের অভিযোগে মণিকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মণির কাছে উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো পরিচয়পত্র ও কিছু নগদ অর্থ। তাঁর সঙ্গে আর কেউ এই চক্রে যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মণি আগে থেকেই প্রতারণা সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগে জড়িত থাকতে পারেন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)