বিধান সরকার: বাড়ি-বাড়ি ঘুরে এসআইআর গণনা ফর্ম (SIR Form) বিলি করছেন বিএলও (BLO) অথচ তাঁর পরিবারের সদস্যদেরই নাম নেই ২০০২-এর ভোটার তালিকায় (2002 Electoral Roll)। নির্বাচন কমিশন ২০০২ সালের ভোটার তালিকা ধরে এসআইআর করছে। যে-তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিপুল বিতর্ক-বিরোধিতা শুরু হয়েছে। এমন অনেক ভোটার রয়েছেন যাঁরা ২০০২ সালের আগে-পরে ভোট দিয়েছেন, অথচ দেখা যাচ্ছে ২০০২ সালের শেষ এসআইআর সংশোধিত তালিকায় তাঁদের নাম নেই!
বিএলও-র'ই নাম নেই!
যেমনটা হয়েছে চুঁচুড়ার ১৯৬ বুথের বিএলও অমিতা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে। অমিতার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, ভাসুর-জা, স্বামী-- কারওরই নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই। অমিতা বলেন, আমার শ্বশুর সমরেন্দ্র বিশ্বাস বৃদ্ধ, ৮৬ বছর বয়স তাঁর। পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে কেওটার বাসিন্দা তিনি। বহু পুরনো বাড়ি আমাদের। অথচ নাম নেই ভোটার তালিকায়! অন্য নথি আছে, সেগুলি দেখাতে পারবেন। কিন্তু অনেকে এমন আছেন, যাঁদের অন্য নথিও নেই! আমার নিজের ২০০২ সালে নাম নেই, কারণ তখন ভোট দেওয়ার বয়স হয়নি। মা-বাবার আছে, আমারটা হয়ে যাবে। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির কী হবে? কী হয়, দেখা যাক।
যাঁদের নথি নেই?
বিএলও অমিতার স্বামী শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, আমরা ২০০২ সালের আগে-পরে ভোট দিয়েছি। অথচ, ২০০২ সালের লিস্টে আমাদের নাম নেই! যাঁদের কাগজ আছে, তাঁদের না হয় ঠিক আছে, কিন্তু যাঁদের নেই, তাদের কী হবে? ২০০২ সালকে ধরা হচ্ছে। তার আগের কেন হবে না? আমার স্ত্রী বিএলও। অথচ, আমার পরিবারেরই কারও নাম নেই। আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন, তাই হয়তো কোনও অসুবিধা হবে না। কিন্তু যাঁদের কোনও কারণে নথি নেই, নথি হারিয়ে গিয়েছে, সেগুলি জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে একটু সমস্যার হবে।
অনেকেরই নাম নেই
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গড়বাগানের অনেকেরই নাম নেই ২০০২-এর তালিকায়। যেমন, বিএলও-র পরিবারেরই নেই!