• নোট বাতিলের ৯ বছর প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা তৃণমূল ও কংগ্রেসের
    বর্তমান | ০৯ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: ৮ নভেম্বর ২০১৬। রাত আটটায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আচমকা  ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেন। সরকারের সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ৯ বছর পূর্ণ হল শনিবার। নোট বাতিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন, সেগুলির কতটা পূরণ হয়েছে? এই প্রশ্ন তুলে এদিন মোদি সরকারকে একহাত নিয়েছে বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের দাবি, মোদি সরকারের ওই পদক্ষেপ ছিল ‘ভারতীয়দের সঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রতারণা’। নোট বাতিলকে ‘তুঘলকি সিদ্ধান্ত’ বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও। 

    এদিন সমাজমাধ্যমে ডেরেক লিখেছেন,‘ঠিক ৯ বছর আগে ভারতীয়দের সঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রতারণা হয়েছিল। নোট বাতিল’। সেখানে এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী মোদির একটি বক্তব্যের অংশবিশেষও শেয়ার করেছেন ডেরেক। ওই বক্তব্যে মোদি ৫০ দিন সময় চেয়ে বলেছিলেন,  ‘যদি ৩০ ডিসেম্বরের পর আমার কাজে কোনও খামতি বা অভিসন্ধি খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে দেশের মানুষ যা শাস্তি দেবেন, তা মাথা পেতে নেব।’ পাশাপাশি রাজ্যসভায় নিজের বক্তব্যের অংশও শেয়ার করেছেন ডেরেক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কালো টাকা ও দুর্নীতির বিরোধী। তবে সাধারণ মানুষের, ছোট ব্যবসায়ীদের পরিণতির কথা ভেবে উদ্বেগ বাড়ছে। কীভাবে তারা প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনবেন? এই আর্থিক বিশৃঙ্খলা সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া একটা বিপর্যয়।’ 

    অন্যদিকে সমাজমাধ্যমে রমেশ লিখেছেন, ‘আজ নোট বাতিলের মতো সর্বনাশা  ও তুঘলকি সিদ্ধান্তের নবম বর্ষপূর্তি। কোটি কোটি ভারতবাসীর রুটি-রুজি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। পঙ্গু হয়ে গিয়েছিল ব্যবসা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। অসংগঠিত ক্ষেত্রের ৯২ শতাংশ কর্মসংস্থান ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। অথচ কালো টাকা কমেনি। ক্যাশলেস অর্থনীতির স্লোগানও মুখ থুবড়ে পড়েছে। যে ২০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল, তাও তুলে নিতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নোট বাতিলের ফলে দেশের অর্থনীতি গতি হারিয়েছিল। সেই ক্ষত এখনও সারেনি।’     
  • Link to this news (বর্তমান)