নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভোট পর্ব সাঙ্গ হওয়ার আগেই কি অপারেশন লোটাসের পদধ্বনি? প্রথম দফার ভোটপর্ব মিটেছে বিহারে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার ভোট। তার আগে লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারেই হানা দিয়ে তেজস্বী যাদবকে রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিতে ফেলতে তৎপর বিজেপি? বিতর্কের সূত্রপাত, বিজেপির গোরক্ষপুরের এমপি চিত্রতারকা রবি কিষাণের সঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদবের বড়ো ছেলে বিদ্রোহী তেজপ্রতাপ যাদবকে দেখা যাওয়া নিয়ে। মিডিয়া তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে কথা বলতে এগিয়ে এলে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান রবি। তেজপ্রতাপ কি বিজেপিতে যোগ দেবেন? এই প্রশ্নে লালুর বড় ছেলের জবাব, এরকম কিছুই স্থির হয়নি। রবি কিষাণের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে গিয়েছে। তাই এভাবে কথা বলছিলাম। কিন্তু বিজেপির প্রতি আপনার মনোভাব কেমন? বিজেপির সঙ্গে জোটে যাওয়ার সম্ভাবনা কি রয়েছে ভবিষ্যতে?
তেজপ্রতাপ রহস্য জিইয়ে রেখে বলেন, আমি তাদেরই সমর্থন করি যারা বিহারের উন্নতি করবে। চাকরি দেবে। বেকারত্ব দূর করবে। সুতরাং যারা এরকম করবে, তারাই আমার সমর্থন পাবে।
তেজপ্রতাপের এধরনের মন্তব্য জল্পনা উসকে দিয়েছে। তেজপ্রতাপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বার্তা দেওয়ার সঙ্গে বিজেপির প্রত্যক্ষভাবে ভোটপ্রাপ্তির সম্পর্ক নেই। কারণ লালুপ্রসাদ তাঁকে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত ঘোষণা করেছেন। তারপর নতুন রাজনৈতিক দল গড়লেও বিহারের রাজনীতিতে কোনও সাড়া ফেলতে পারেননি তেজপ্রতাপ। এমনকী যাদব ভোটে থাবা বসানোর মতো শক্তিও তাঁর নেই। কিন্তু ইন্ডিয়া ব্লকের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বীর দাদা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, এই বার্তা দিতে পারলে ইন্ডিয়া জোটের ভোটব্যাংকের কাছে তা একটি ধাক্কা হবে বলে মনে করছে বিজেপি। তাই তেজপ্রতাপ যোগ দিন অথবা না দিন, এই প্রকাশ্য ঘনিষ্ঠতার দৃশ্য বিহার রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলুক এটাই চাইছে বিজেপি।
এরইমধ্যে শনিবার কংগ্রেসের কটাক্ষ, বিহারে সরকার গঠন নিয়ে এখন থেকেই হতাশ বিজেপি। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা পাটনায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, প্রথম দফার ১২১ আসনের মধ্যে ৭২টি পাবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। তিনি বলেন, প্রথম দফার ভোটের পরই বিজেপির সভার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। মোদিজীর যতগুলি সভা-রোড শো করার কথা ছিল, সেই সংখ্যাও কমেছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, বিজেপি কি প্রথম দফার পরই কি হাওয়া বুঝতে পারছে?