• বিহারের রাস্তায় পড়ে অসংখ্য ভিভিপ্যাট স্লিপ, সাসপেন্ড দুই নির্বাচনী আধিকারিক, মক পোলের কাগজ, ব্যাখ্যা কমিশনের
    বর্তমান | ০৯ নভেম্বর ২০২৫
  • পাটনা: প্রথম দফায় ভোট পড়েছে প্রায় ৬৪.৬৬ শতাংশ। বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে ভোটদানের এই হার সর্বোচ্চ। এনিয়ে ঢাক পেটাতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে ভোটগ্রহণের একদিন পরই ধরা পড়ল চরম গাফিলতির চিত্র। শনিবার বিহারের সমস্তিপুরের রাস্তায় পাওয়া গেল অসংখ্য ভিভিপ্যাট স্লিপ। সমস্তিপুরের সরাইরঞ্জন বিধানসভা কেন্দ্রের কেএসআর কলেজের পাশের রাস্তায় এভাবে ভিভিপ্যাট স্লিপ পড়ে থাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আরজেডি, কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, কার নির্দেশে এভাবে স্লিপগুলি ফেলে দেওয়া হয়েছে? ‘চোরেদের কমিশন’ কি উত্তর দেবে? চাপে পড়ে দুই নির্বাচনী আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিকে, মানহার বিধানসভা এলাকায় গণনাকেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাজিপুরেও স্ট্রংরুমে সন্দেহজনক গতিবিধি ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে আরজেডি।

    মুখ বাঁচাতে প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তাঁর সাফাই, রাস্তায় যে ভিভিপ্যাট স্লিপগুলি পড়েছিল, তা আসলে মক পোলের। ইভিএম ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করতে মকপোল হয়েছিল। এগুলি সেই কাগজ। এর সঙ্গে প্রথম দফার ভোটের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। 

    এদিন রাস্তায় ভিভিপ্যাট স্লিপ পড়ে থাকতে দেখে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। কেউ কেউ ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করে দেন। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন সমস্তিপুরের জেলাশাসক রোশন কুশওয়াহ। তিনি জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার সহ এক আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনায় এফআইআর দায়েরের পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    যদিও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য, এগুলি মক পোলের স্লিপ। আসল ভোটের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। বিহারের প্রথম দফার ভোট স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। তবে এনিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে আরজেডি ও কংগ্রেস। তাদের জিজ্ঞাসা, কখন, কীভাবে, কার নির্দেশে এই স্লিপগুলি ফেলা হয়েছে? চোরেদের কমিশন কি এর জবাব দেবে? বাইরে থেকে এসে গণতন্ত্রের যে ডাকাতরা বিহারে ডেরা জমিয়েছে, তাদের নির্দেশেই কি এই ঘটনা ঘটেছে?
  • Link to this news (বর্তমান)