• পশুচিকিৎসা কেন্দ্রে নেই ডাক্তার, পথকুকুরের অত্যাচারে শিলিগুড়ি শহরজুড়ে বাড়ছে আতঙ্ক
    বর্তমান | ০৯ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: পশুচিকিৎসা কেন্দ্র হলেও ডাক্তার মিলছে না। তার মাঝে পথকুকুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশিকা। তার সঙ্গে জুড়েছে পথকুকুরের অত্যাচারে শহরজুড়ে আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসা। যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে শিলিগুড়ির মেয়রকে। শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভার টক টু মেয়র ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠানে বহু নাগরিক পথকুকুর নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেন। তাঁদের সকলেই মেয়রকে জানান, পথকুকুরের অত্যাচারে রাস্তায় চলে যাচ্ছে না। যাকে তাকে কামড়ে দিচ্ছে। সবথেকে উদ্বেগের বিষয় স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে। স্কুল যাওয়ার পথে পথককুর তাদের ঘিরে ধরছে। অনেককে কামড় বসাচ্ছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।  তাই এব্যাপারে তাঁরা মেয়রের পদক্ষেপ চান। 

    মেয়র বলেন, পথকুকুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি একটি নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে। পুরোটা পাইনি। তবে শুনেছি, হাসপাতাল, স্কুলে কুকুর থাকা চলবে না। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানার পরে বোঝা যাবে কী করণীয়। এখন আমাদের সমস্যা পশু চিকৎসকের অভাব। আমরা পশুচিকিৎসা কেন্দ্র খুলেছি। চুক্তিতে সপ্তাহে একদিন করে একজন চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছে। শীঘ্রই তিনি কাজ শুরু করবেন। তখন শুরু হবে পথকুকুরের নির্বীজকরণ। পথকুকুরদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করার ক্ষেত্রে নির্বীজকরণই একমাত্র পথ। শিলিগুড়ি শহরে অন্তত ১০ হাজার কুকুর রয়েছে। তাই সেখানেও সমস্যা রয়েছে, বিপুল খরচ। 

    মেয়র আরও বলেন,  একটি কুকুরকে নির্বীজকরণ করতে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ। এই টাকা পুরসভা থেকে দিতে হবে। কিছু এনজিও এই কাজ করলেও পুরসভার তরফে উদ্যোগ নিয়ে  শীঘ্রই পথ কুকুরের নির্বীজকরণ শুরু করা হবে। পথকুকুরের দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি এদিন টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে অনেক নাগরিক হাউজিং ফর অলের টাকা না পাওয়ার কথা জানান মেয়রকে। সকলেরই বক্তব্য, প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে বাড়ি ভেঙে কাজ শুরু করেছিলেন। এখন দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাচ্ছেন না। ফলে বাড়ি অর্ধেক হয়ে পড়ে রয়েছে  ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। মেয়র এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এব্যাপারে পাঁচ কোটি টাকা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। নতুন করে কিছু বাড়ি অনুমোদনের জিআই ট্যাগ করে পাঠাতে বলা হয়েছে। আমরা শীঘ্রই তা করে পাঠাব। আশা করছি এর মধ্যেই টাকা চলে আসবে।
  • Link to this news (বর্তমান)