দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গতির দৌড়ে হার পুলিশের, গাড়ি উল্টে ধৃত দুই
বর্তমান | ০৯ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চোর-পুলিশের খেলায় জিতেই গিয়েছিল চোর। তবে ভাগ্যের ফেরে শেষপর্যন্ত খেলায় হেরে গিয়ে ধরা পড়ে গেল। শনিবার ভোররাতে এই খেলা শুরু হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে। খেলা শেষ হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে গিয়ে।
হাসনাবাদ থানার ভেবিয়া এলাকার কয়েকজনের বাড়ি থেকে পাঁচটি গোরু চুরি করে একদল দুষ্কৃতী। গোরু মিনি ট্রাকে চাপিয়ে পালায়। পালাতে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীরা কোনওভাবে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারে। তারপর কয়েকজন গ্রামবাসী গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে তাদের। বাসন্তী হাইওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে দৌড়চ্ছিল মিনি ট্রাকটি। গ্রাম থেকে খবর দেওয়া হয় মিনাখাঁ থানায়। তারপর থানার একটি আর টি গাড়ি মিনি ট্রাকটির পিছু নেয়। পিছনে পুলিসের গাড়ি দেখে ধরা পড়ার ভয়ে গতি বাড়িয়ে দেন গোরুর ট্রাকটির চালক। মালঞ্চ ও সরবেড়িয়ার কাছে রাস্তায় পুলিশের গার্ড রেল ছিল। তা ধাক্কা মেরে ফেলে দৌড়তে থাকে গোরু ভর্তি ট্রাকটি। গতিতে পেরে ওঠেনি পুলিশ। ততক্ষণে মিনাখাঁ থানার সীমানা শেষ হয়ে যায়। পুলিশ হাল ছেড়ে দেয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করা বন্ধ করেনি। ছুটতে ছুটতে দুষ্কৃতীরা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমানা টপকে ঢুকে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ইতিমধ্যে ক্যানিং থানায় বিষয়টি জানানো হয়। সেখান থেকে ফোর্স যায় মিনি ট্রাকটি ধরতে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে লাগাতার দৌড়নোর কারণে হঠাৎ মিনি ট্রাকের একটি চাকা যায় ফেটে। কিন্তু দুষ্কৃতীরা গাড়ি থামায়নি। কিছুটা পথ যাওয়ার পর সিনেমার দৃশ্যের মতো ট্রাকের চাকা খুলে বেরিয়ে যায়। তিনচাকায় চলতে থাকে ট্রাক। তারপর ক্যানিং অটো স্ট্যান্ডের কাছে এসে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি চালক। একটি বালির লরি দাঁড়িয়ে ছিল। তার পিছনে ধাক্কা মারে। গাড়িটিতে পাঁচজন ছিল। তিনজন পালায়। তবে ধরা পড়ে যায় ট্রাক চালক এবং আরও এক দুষ্কৃতী। তাদের ধরে পুলিশ। চালকের নাম মোজ্জম গাজি। তিনি গুরুতর আহত। কামারুজ্জামান মোল্লা নামে ভেবিয়ার এক বাসিন্দা বলেন, আমার বাড়ি থেকে তিনটি ও আশপাশের বাড়ি থেকে দুটো গোরু চুরি করে পালানোর সময় খবর পাই। আমরা ওদের পিছু ধাওয়া করেছিলাম। ক্যানিংয়ে দু’জন ধরা পড়েছে। নিজস্ব চিত্র