• ফর্মের জন্য টাকা দাবি! এসআইআরে বিএলওদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শোকজ ৮ জনকে
    বর্তমান | ০৯ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মাঠে-ঘাটে বসে ইনিউমারেশন ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তার জেরে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সাফ নির্দেশ গিয়েছে ডিআরওদের কাছে—বাড়ি বাড়ি যেতেই হবে বিএলওদের। এই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উঠল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। জলপাইগুড়ি থেকে সরাসরি কমিশনের হেল্পলাইন নম্বর ১৯৫০-এ এল ফোন— টাকার বিনিময়ে ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। এই অভিযোগে তদন্ত করার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) অফিসের তরফে সংশ্লিষ্ট ইআরওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। শনিবার থেকেই বিএলওদের উপর নজরদারি চালাতে বিশেষ সেল গঠন করেছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস। চালু করা হয়েছে নয়া কন্ট্রোল রুম নম্বর ০৩৩২২৩১০৮৫০। এই নম্বরে ফোন করে বিএলওদের কার্যকলাপ নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি সংবাদ এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরদারি চালিয়ে সরাসরি বিএলওদের থেকে জবাব তলব করবে এই সেল। রিপোর্ট চাওয়া হবে সংশ্লিষ্ট ইআরও-র থেকেও। 

    জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথে ফর্ম বিলি করার সময় এক একজন ভোটারের থেকে নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা করে। এটা পুরোপুরি বেআইনি কাজ। অন্তত তেমনই জানাচ্ছে সিইও অফিস। কারণ, ফর্ম ছাপানোর জন্য সম্পূর্ণ খরচই বহন করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। একেবারে বিনামূল্যে প্রত্যেক ভোটারকে দু’ কপি করে ইনিউমারেশন ফর্ম দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক বিএলওকে। জলপাইগুড়ির পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এই অভিযোগ এসেছে বলেও সূত্রের খবর। এবিষয়ে সিইও অফিসের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এই পরিস্থিতিতে এদিন নির্দেশ উপেক্ষা করে রাস্তায় ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি করা সহ নানান অভিযোগে আট বিএলওকে শোকজ করেছে কমিশন। শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই ক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে চাকরিতে নিম্নতর পদে নামিয়ে দেওয়া, বেতনে কোপ এবং চাকরি থেকে বহিষ্কারের মতো চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএলওদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ আসছে। বিহারে এসএইআর পর্বে প্রায় ৫০০ জন বিএলওর বিরুদ্ধে শোকজ এবং এফআইআরের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ সিইও অফিসের তরফেও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, কর্তব্যে গাফিলতির ক্ষেত্রে কোনও রেয়াত করা হবে না। কোনও বিএলওর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হলে এফআইআর করা থেকে কমিশন বিরত থাকবে না। এদিন পাঁচ জন বিএলএ’র বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)