• সরকারি অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের গাওয়ানো হল RSS গণগীত! প্রতিবাদে সরব বিজয়ন, ক্ষুব্ধ স্কুলও
    প্রতিদিন | ০৯ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের গাওয়ানো হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর গণ গীত। এই নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর মতে, সরকারি অনুষ্ঠানে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখার প্রয়োজন। দেশের বর্তমান সরকার সেটি করছে না। প্রসঙ্গত, এর্নাকুলাম-বেঙ্গালুরু বন্দেভারত ট্রেনের সূচনায় দক্ষিণ রেলের অনুষ্ঠানে আরএসএস-এর গণ গীত গাওয়ানো হয় উপস্থিত স্কুল পড়ুয়াদের।

    বিজয়ন এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ রেলকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “এর্নাকুলাম-বেঙ্গালুরু বন্দেভারত ট্রেনের সূচনায় দক্ষিণ রেলের অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের আরএসএস-এর গণ গীত গাওয়ানোর বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ করছি। এটি গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি সব মানুষকে এর প্রতিবাদে সরব হওয়ার আহ্বান জানান। কারণ, এটি ‘সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থী এবং প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার গুরুতর লঙ্ঘন’।

    তিনি আরও বলেন, “এই গানটি এমন এক সংগঠনের, যারা অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায় এবং বিভাজনের রাজনীতি করে। সরকারিভাবে এমন সংগঠনের গানকে অন্তর্ভুক্ত করা সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতার চরম অবমাননা।” কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনী মঞ্চে গোপনে ‘চরম হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি’ প্রবেশ করানো হয়েছে। তাঁর কথায়, “এর পেছনে ছিল এক সংকীর্ণ রাজনৈতিক মানসিকতা, যার উদ্দেশ্য ভারতীয় সমাজের ধর্মনিরপেক্ষ ভিত্তি ধ্বংস করা।”

    এই গান গাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট স্কুলও। কেরলের যে স্কুলের পড়ুয়াদের দিয়ে আরএসএসের গণ গীত গাওয়ানো হয়েছে, সেই স্কুলের প্রশ্ন, পড়ুয়ারা কি কোনও দেশাত্মবোধক গান গাইতে পারত না? সরকারি অনুষ্ঠানে এমন গান গাওয়া হচ্ছে, সেই দেখে পড়ুয়াদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের আদর্শ নষ্ট হয়ে যাবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)