• BDO-র গ্রেপ্তারির দাবির মধ্যেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় নয়া মোড়, তদন্তভার গেল ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের হাতে
    এই সময় | ০৯ নভেম্বর ২০২৫
  • নিউ টাউনে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলার খুনের ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার গেল বিধাননগরের ডিটেকটিভ বিভাগের হাতে। এই মামলাটির তদন্ত করছিল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম রাজু ঢালি এবং তুফান থাপা। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। ধৃত রাজু ঢালি প্রশান্তর গাড়িচালক ছিলেন। কেন প্রশান্ত বর্মনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয় বিজেপি। এরই মধ্যে নতুন এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    গত ২৮ অক্টোবর দত্তাবাদে নিজের দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। পরিবারের তরফে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এর পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় নিউ টাউনের যাত্রাগাছির বাগজোলা খালপাড় এলাকার ঝোঁপ থেকে।

    গোটা ঘটনায় মৃতের পরিবারের নিশানায় ছিলেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন। ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ছিল, বিডিও-র বাড়ি থেকে বেশ কিছু গয়না কয়েকদিন আগে খোয়া যায়। এর পরে বিডিও নাকি দাবি করেছিলেন, সেই গয়না মৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিডিও-র সংঘাত তৈরি হয়। গত ২৮ অক্টোবর একটি নীলবাতি নিয়ে দত্তাবাদে হাজির হন বিডিও, অভিযোগ পরিবারের। সেই গাড়িটিতে করেই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    যদিও অভিযুক্ত বিডিও-র দাবি, তাঁর কোনও বাড়ি নেই। সেখান থেকে কোনও সোনা চুরি হয়নি। তিনি অভিযুক্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে চেনেন না। অভিযোগ যে কেউ তুলতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও তাঁর দাবি, তিনি এসএসবি করেছেন। এখন পিএইচডি করছেন। কিছুদিন পরে তাঁর নামের পাশে ডক্টরেট বসবে। তিনি দশটি বইয়ের লিখেছেন বলেও জানান।

  • Link to this news (এই সময়)