বিধান সরকার-অয়ন শর্মা: এসআইআর গণনা ফর্ম পাননি বাপের বাড়িতে। অন্যদিকে শ্বশুর বাড়িতে বিবাদে সম্পর্ক ছিন্ন। কী হবে চিন্তায় শিশু কন্যাকে নিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর। ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত সোমসপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কানানদী এলাকার ঘটনা।
এস আই আর আবহে ৬ বছরের শিশুকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর। এস আই আর নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ২৮ বছরের আশা সোরেন, দাবি পরিবারের। শনিবার সকালে এই ঘটনার পর ধনিয়াখালি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার হয় আশা ও তার মেয়ের। পরে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাদের।
জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে হরিপালে বিয়ে হয়ছিল আশার। পারিবারিক বিবাদের জেরে গত ছয় বছর বাপের বাড়িতেই থাকেন। বাপের বাড়ির সকলকে এস আই আর ফর্ম পেয়েছেন। ফর্ম পাননি আশা। শ্বশুরবাড়িতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ,এস আই আর এর ফর্ম পাওয়ার বিষয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনওরকম সহযোগিতা পাওয়া যাবে না হয়তো। এই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন,দাবি পরিবারের। মানসিক অবসাদে গতকাল সকালে ছয় বছরের শিশুকে নিয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
আশার দাদা অমর মূর্মু বলেন,বোনের বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতেই ভোট ছিল। এখানে কিছু না থাকায় তার এসআইআর ফর্ম পায়নি। আমি বলেছিলাম অনলাইনে বের করতে। কিন্তু খুবই দুশ্চিন্তায় ছিল কী হবে এই ভেবে। আজ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সোমসপুর এলাকায় বাড়ি যান ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। বিধায়ক জানান, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানার পরই দুজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আমার সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আমরা পরিবারের পাশে আছি।' এখন মা-মেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে মেইন ব্লকে তিনতলায় আই সি ইউতে চিকিৎসাধীন। ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে দুজনকে।
অন্যদিকে, SIR আতঙ্কে স্ট্রোক হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী কালনার মহাপ্রভু পাড়া এলাকার এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কালনার মহাপ্রভু পাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন ক্ষিতীশ শর্মা। এস আই আরে ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই তার, একই সঙ্গে তার বাবা-মা ছোটবেলায় মারা যাওয়ায় তাদেরও নাম পাচ্ছেন না তিনি। সেই আতঙ্ক থেকেই গাড়ি চালানো অবস্থায় তার স্ট্রোক হয়ে যায়। কোনক্রমে একজনের সহযোগিতায় ঐদিন বাড়ি ফেরেন তিনি, তারপরের দিনই ভর্তি হন কালনা হসপিটালে।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭
২৪x৭ টোল-ফ্রি মানসিক স্বাস্থ্য পুনর্বাসন হেল্পলাইন-- কিরণ (১৮০০-৫৯৯-০০১৯)