বীরভূমে মৃত বিমান প্রামাণিকের বাড়িতে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
রাজ্যজুড়ে একের পর মৃত্যু খবর। এসআইআর চালু হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর আসছে। বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাসিন্দা বিমান প্রামাণিকের এসআইআর আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। তৃণমূল সেনাপতি এসআইআর-এর খুঁটিনাটি বিষয়ে সাহায্যের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের মৃতদের বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য করার ঘোষণাও করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের নির্দেশ অনুসারে রবিবার মৃত বিমান প্রামাণিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি গিয়ে দেখা করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেন পরিবহণ মন্ত্রী। সাধারণ মানুষকে উন্নয়ন না দিয়ে অস্তিত্বের সংকটে ফেলা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন তিনি। অস্তিত্বের সংকটে পড়লে মানুষ আর উন্নয়ন চাইবে না বলেও জানান তিনি। এটাকে অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর কৌশল বলে নিশানা করেন মন্ত্রী। নোটবন্দির সময়ে মানুষকে একই ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
মন্ত্রী বলেন,‘কয়েক মাসের মধ্যে এসআইআর-এর মতো একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়াকে শেষ করতে চেয়ে প্রকৃতপক্ষে বহু বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার রাস্তা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন। শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতারা আতঙ্ক তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।‘ মন্ত্রীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে রাজ্য থেকে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। একই সঙ্গে সমস্ত মৃত্যুকে এসআইআরের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, মানবিকতার খাতিরে তাঁরা পাশে আছেন৷ এই ঘটনায় যাতে কেউ আতঙ্কিত না হন, তার জন্য প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।