• এসআইআর থেকে নাম বাদ পড়লে কী করবেন, জেনে নিন
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • দোরগোড়ায় রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুরু হয়েছে এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সংশোধন। বাংলা সহ ৯টি রাজ্য এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চলছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর। বিহারেও ভোটের আগে বিশেষ নিবিড়ি সংশোধন প্রক্রিয়া হয়। তাতে প্রায় ৪৭ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়ে। বিহারে এসআইআর শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে এসআইআর থেকে নাম বাদ গেলে কী করতে হবে জানানো হয়।

    এসআইআরের মাধ্যমে দেশের বৈধ ভোটারদের নাম যাচাই করা হয়। তারপর ভোটার তালিকা আপডেট এবং সংশোধন করা হয়। ২০০৩ সালে শেষ এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সংশোধন করা হয়েছিল। সারা দেশে ২০০৩ সালে হলেও বাংলায় শেষ এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সাল। তবে বাংলায় কিছু কিছু জায়গায় এসআইআর ২০০২-এর তালিকা নেই। সেক্ষেত্রে ২০০৩-এর তালিকা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। সেখানে সেই অনুযায়ী এসআইআর হবে।

    ২৮ অক্টোবর থেকে বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন বিএলওরা। প্রতিটি বাড়িতে সদস্য প্রতি ২টি করে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হবে। ফর্মে প্রতি সদস্যের ভোটার কার্ডের ডিটেলস লেখা থাকবে। এই ২টি ফর্ম পূরণ করতে হবে। একটি ফর্ম আপনাদের দিয়ে অন্যটি নিয়ে যাবেন বিএলও। ফর্ম পূরণ কী ভাবে করতে হবে বিএলও-রাই বলে দেবেন। আর যাঁরা কর্মসূত্রে বাংলার বাইরে বা দেশের বাইরে থাকেন তাঁরা অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।

    এনুমারেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে নির্বাচন কমিশন একটি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। এই তালিকা দেখে নিজের নাম মিলিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয় ধাপের এসআইআরের খসড়া তালিকা বেরোবে ৯ ডিসেম্বর। এই তালিকায় নাম না থাকলে বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যে নথি বিএলও-রা চাইবেন তা জমা দিয়ে নাম তোলার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি এসআইআরের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে।

    কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ১১টি নথির কথা বলা হয়েছে। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আধার কার্ডকে ১২ নম্বর নথি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। যদি আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। পরিচয়পত্রের প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড জমা দেওয়া যাবে। আধার কার্ড জমা করলে তার সঙ্গে ১১টি নথির একটি জমা দিতে হবে। আধার কার্ড না দিলে ১১টি নথির ১টি দিলেই চলবে। যদি সব নথি থাকার পরও কোনও কারণে চূড়ান্ত তালিকা থেকে আপনার নাম বাদ যায় তাহলে চিন্তার কিছু নেই।

    চূড়ান্ত তালিকায় নাম না থাকলে সাধারণ ভোটার তালিকায় নাম তুলতে যে পদ্ধতি নেওয়া হয়, সেই পদ্ধতিই এক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে। এর জন্য বৈধ কাগজপত্র নিয়ে বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনেও করার সুযোগ রয়েছে। তবে বৈধ কাগজপত্র থাকাটা আবশ্যক। এসআইআরের খসড়া তালিকায় নাম না থাকলেও কোনও উদ্বেগের কিছু নেই। নথিপত্র জোগাড় করে আবার নাম তুলতে পারবেন।

    ভারতের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো জানিয়েছে, ‘একজনও যোগ্য ভোটদাতা যাতে বাদ না পড়েন এবং অযোগ্য কেউ যাতে ভোটার হিসেবে বিবেচিত হতে না পারেন, সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করে সংবিধানের ৩২৬ ধারা অনুসারে এই কাজ করেছে নির্বাচন কমিশন। যদি কোনও যোগ্য ভোটদাতার নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনের ১০ দিন আগে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও কোনও অভিযোগ থাকলে ১৯৫০-এর সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী প্রথমে জেলাশাসক এবং পরবর্তী পর্বে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে প্রতিকারের আবেদন জানাতে পারবেন’।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)