বেঙ্গালুরু: ‘আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসবেক সংঘ) একটি স্বীকৃত ব্যক্তি সমষ্টি (বডি অব ইন্ডিভিজুয়ালস)। আয়কর দপ্তর ও দেশের আদালতও একই স্বীকৃতি দিয়েছে। আর শুধু আরএসএস নয়। দেশে অনেক কিছুরই তো রেজিস্ট্রেশন নেই। এমনকি হিন্দু ধর্মেরও কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই।’ রবিবার বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে এভাবেই কংগ্রেসের আক্রমণের জবাব দিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সম্প্রতি তাঁর ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গেও আরএসএসের রেজিস্ট্রেশন, কার্যকলাপ, অর্থের উৎস সহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিন তারই জবাব দিলেন ভাগবত। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, হিন্দু বলতে বিশেষ কোনও ধর্মকে বোঝায় না। ভারতে যারা জন্মেছে, তারাই হিন্দু। তাই আরএসএসে শুধুমাত্র হিন্দুরাই যোগ দিতে পারে। তিনি বলেছেন, কোনও ব্রাহ্মণ, কোনও বিশেষ জাতি, কোনও মুসলিম বা কোনও খ্রিস্টানকে আলাদা করে নেওয়া হয় না সংঘে। পৃথক পরিচয় বাইরে রেখে, ভারত মাতার সন্তান হিসেবে আরএসএসে যোগ দিতে চাইলে ব্রাহ্মণ, মুসলিম বা খ্রিস্টান-সবাই স্বাগত। সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতের কথায়, ‘আরএসএস একটি ব্যক্তি সমষ্টি। ১৯২৫ সালে আরএসএসের প্রতিষ্ঠা হয়। তখন আমরা কি ব্রিটিশ সরকারের কাছে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতাম? স্বাধীনতার পরও ভারত সরকারের তরফে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যত্যমূলক করা হয়নি। মাথায় রাখবেন আমরা স্বীকৃত ব্যক্তি সমষ্টি। আয়কর দপ্তর ও আদালতের তরফে আমাদের এই তকমা দেওয়া হয়েছে। আয়কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের তিনবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের স্বীকৃতি না থাকলে, আমাদের অস্তিত্ব না থাকলে, কাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল? রেজিস্ট্রেশন নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। দেশে অনেককিছুরই কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই? এমনকি হিন্দু ধর্মেরও কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই।’