• কাল দ্বিতীয় দফায় ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ বিহারে, নজরে সীমাঞ্চল
    বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • পাটনা: প্রচার পর্ব শেষ। রাত পোহালেই মঙ্গলবার দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ। বিজেপি থেকে আরজেডি। কংগ্রেস, মিম থেকে শুরু করে জন সুরাজ পার্টি। আমজনতার মন জিততে সবাই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে। প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়েছে। নানা রণকৌশলের সাক্ষী  হয়েছে বুদ্ধভূমি। চূড়ান্ত দফায় সবার নজরে সীমাঞ্চল। এখানকার চার জেলায় (পুর্নিয়া,  আরারিয়া, কিষানগঞ্জ ও কাটিহার) ২৪টি আসন। পরিসংখ্যান বলছে, বিহারের ১৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার একটা বড় অংশ রয়েছে এখানেই। এই অঞ্চলে ভোটের প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশ, জাতপাত, ‘জঙ্গলরাজ’, উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, বঞ্চনা সহ নানা বিষয়ে গলা ফাটিয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতারা।। এরইমাঝে এসআইআরও একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এসআইআর পরবর্তী বিহারে এবার শাসক-বিরোধীদের ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে সীমাঞ্চলের ব্যাটেলগ্রাউন্ড।     

    তথ্য বলছে, এসআইআরের জেরে মুসলিম প্রভাবিত এই অঞ্চলে প্রচুর নাম বাদ পড়েছে। তাই এবার বিজেপি বাড়তি সুবিধা পায় কি না, সেটাই দেখার। ২০২০ সালে এখানে আটটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। শরিক জেডিইউ পেয়েছিল ৪ আসন। কংগ্রেস পাঁচটি, বাম ও আরজেডি একটি করে আসন জয়ী হয়েছিল। কিন্তু আসল খেলা খেলেছিল মিম। এখানে পাঁচটি আসন পেয়েছিল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল। এমনকি বেশ কয়েকটি আসনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে তারা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার এসআইআরের ক্ষোভ বিরোধী শিবিরকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে।

    মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় ২০ জেলার ১২২ আসনে ভোট হবে। এই পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩০২ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লক্ষ। এরমধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৯৫ লক্ষ আর মহিলা ১ কোটি ৭৪ লক্ষ। সবমিলিয়ে ৪৫ হাজার ৩৯৯টি বুথে সম্পন্ন হবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে সীমাঞ্চল ছাড়াও মগধ, মিথিলাঞ্চল, চম্পারণ, ভাগলপুরের উপরও নজর রয়েছে।

    ২০২০ সালে ১২২টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৪২ আসনে। আরজেডি পেয়েছিল ৩৩টি আসন। জেডিইউ দখল করে ২০টি আসন। কংগ্রেস ও বামেদের ঝুলিতে ছিল যথাক্রমে ১১টি ও ৫টি আসন। এক্ষেত্রে তিরুঠ, সারন ও মিথিলাঞ্চলের একটা বড় অংশে বেশ শক্তিশালী বিজেপি। ভাগলপুরে এগিয়ে জেডিইউ। তবে মগধ অঞ্চলে মহাজোটের ভালো প্রভাব রয়েছে। আপাতত ফলপ্রকাশের অপেক্ষা।
  • Link to this news (বর্তমান)