ধান কেটে আলুর বীজ বপণ শুরু, ফের জোরালো হচ্ছে হিমঘরের দাবি
বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, শীতলকুচি: শীতলকুচিতে হিমঘর না থাকায় এবারও পর্যাপ্ত দাম মিলবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন আলু চাষিরা। ব্লকের কিছু এলাকায় আলু চাষ শুরু হলেও আমন ধান কাটার পরেই জোরকদমে আলুর বীজ বপণের কাজ শুরু হবে। আলু চাষিদের অভিযোগ, শীতলকুচিতে হিমঘর না থাকায় আলু মজুত করে দাম বাড়ার অপেক্ষা করার উপায় নেই। তাই জমি থেকে আলু তুলে কম দামে বিক্রি করে দিতে হয়। বহুবার হিমঘরের দাবি জানালেও কোনও লাভ হয়নি। যদিও শীতলকুচি ব্লক সহকৃষি অধিকর্তা প্রদীপ্ত ভৌমিকের বক্তব্য, আলু মজুত করে রাখার হিমঘর শীতলকুচিতে নেই। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আলু চাষ করে হিমঘরে মজুত রাখতে যেতে হয় ৩০ কিমি দূরে নিশিগঞ্জ কিংবা মাথাভাঙার বৈরাগীরহাটে। সেখানে বন্ড পেতে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। যদিও কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকে প্রায় দু’হাজার হেক্টর জমিতে ৮০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি আলু উৎপাদন হয়। বন্ড পেতে সমস্যা হলে আলু চাষিরা কৃষিদপ্তরে যোগাযোগ করতে পারেন।
আলু চাষি ওসমান মিয়াঁ, সুবল বর্মন প্রমুখ বলেন, আমাদের এখানে হিমঘর নেই। আলু মজুত রাখতে যেতে হয় নিশীগঞ্জ কিংবা বৈরাগীরহাটে। সেখানে আলুর বন্ড পেতে সমস্যা হয়। শীতলকুচিতে হিমঘর নির্মাণ হলে খুবই ভালো হয়। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন বলেন, হিমঘর না থাকায় শীতলকুচি ব্লকের চাষিদের স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। তাঁরা আলু ও অন্যান্য ফসল মজুত করে রাখতে পারছেন না। অন্য জায়গায় রাখতে হলে খরচ বেশি পড়ে যাচ্ছে। এনিয়ে আমি বারংবার বিভিন্ন মহলে দাবি জানিয়ে আসছি। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি তপনকুমার গুহ বলেন, আমরাও চাই শীতলকুচিতে হিমঘর নির্মাণ হোক। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনে জানানো হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।