• রিচার সাফল্যে ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পগুলিতে বাড়ছে শিক্ষার্থী
    বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: রিচাকে সামনে রেখে শিলিগুড়িতে ক্রিকেটের নতুন জোয়ার তৈরি হচ্ছে। সোনার মেয়ে নিজের শহরে পা রাখার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবের ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীর ভিড় বাড়ল। এই ক্যাম্প থেকেই রিচার ক্রিকেটে হাতেখড়ি ও বেড়ে ওঠা। বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবের ক্রিকেট সচিব হিন্দোল সেনগুপ্ত বলেন, গত দু’দিনে ছ’জন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন মেয়ে।  আরও অনেক অভিভাবক তাঁদের ছেলেমেয়েদের ভর্তি করার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন। 

    ক্লাব সূত্রেই জানা গিয়েছে, অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। রিচা শিলিগুড়িতে আসার পর থেকে ক্যাম্পে তারা আবার নতুন করে আসতে শুরু করেছে। বিশ্বকাপ জয়ের পর রিচা এখন শিলিগুড়ি তথা বাংলার আইকন। তাই ক্রিকেট কোচিং সেন্টারগুলিতে ভিড় বাড়াটাই স্বাভাবিক। 

    যেমন ১৯৮১ সালে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে রাজ্য টেবিল টেনিসের আসর বসেছিল। সেখানে গণেশ কুণ্ডু সাব জুনিয়র, জুনিয়র বিভাগে একাধিক পদক জিতেছিলেন। নিজের শহরে একঝাঁক তারকা প্যাডলারের খেলা দেখা এবং গণেশ কুণ্ডুর সাফল্যে শিলিগুড়িতে পাড়ায় পাড়ায় টেবিল টেনিসের জোয়ার তৈরি হয়েছিল। তার রেশ ধরে পরবর্তীতে ঝাঁকে ঝাঁকে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন উপহার দিয়ে টেবিল টেনিসের শহর হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি। 

    ১৯৮৮ সালে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে নেহরু গোল্ড কাপ ফুটবল হওয়ার পর এই শহরে ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা বেড়েছিল। তৈরি হয়েছিল অনেক কোচিং সেন্টার। তাই বিশ্বকাপে রিচার অনবদ্য পারফরমেন্স ও ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনায় শিলিগুড়িতে ক্রিকেটের জোয়ার আসাটা স্বাভাবিক বলে মনে করেন শহরের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। শিলিগুড়িতে এসে রিচাও প্রত্যেককে, বিশেষ করে মেয়েদের আরও বেশি করে ক্রিকেট খেলার আহ্বান জানিয়েছেন। 

    দু’দিনেই যে উন্মাদনাকে দেখা যাচ্ছে তাকে সকলেই স্বাগত জানাচ্ছেন। আর এখানেই অভিভাবকদের সতর্ক করেছেন রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা দেখেছেন, অনেক অভিভাবকই কোনও সাফল্যকে সামনে রেখে তাঁর ছেলেমেয়েদেরকে সেই জায়গায় পৌঁছে দিতেই মরিয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেখানে নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের থেকেই শর্টকাট, নানা প্রলোভনে পা বাড়ানোর ঘটনায় বেশি থাকে। ক্রিকেট সহ বিভিন্ন খেলায় অভিভাবকদের এ ধরনের ভুলে অনেক প্রতিভা অসময়ে হারিয়ে গিয়েছে। তাই অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিচার বাবার বার্তা, শর্টকাট নয়। কোনও প্রলোভনে প্রলুব্ধ হবেন না। নিষ্ঠা ও পরিশ্রমেই বড় সাফল্য আসবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)