ডঃ মেঘনাদ সাহা কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গের লোকায়ত সংস্কৃতি
বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
দিবাকর মজুমদার, ইটাহার: কলেজ প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রজতজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের সূচনা হল রবিবার। এদিন ইটাহারের ডঃ মেঘনাদ সাহা কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন স্থানীয় বিধায়ক তথা কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি মোশারফ হুসেন। আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান। রজতজয়ন্তী বর্ষে উত্তরবঙ্গের নিজস্ব লোকায়ত সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এদিন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার অংশ নেন কলেজ পড়ুয়া, অধ্যাপক এবং বিশিষ্টজনেরা। বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তার মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রাটি ইটাহার শহর পরিক্রমা করে। কলেজ প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে চারদিন ধরে অনুষ্ঠান হবে কলেজ প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানে গম্ভীরা, মুখা ও পুরুলিয়ার ছৌ নাচ ও বাউল সঙ্গীত তুলে ধরা হবে। এছাড়া বিভাগীয় প্রদর্শনী, শ্রুতি নাটক, নাচ, গান, নাটক মঞ্চস্থ হবে। কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মুকুন্দ মিশ্র বলেন, রজতজয়ন্তী বর্ষে চার দিনের অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।
পড়ুয়ারা আয়োজন করেছেন বই, খাদ্য ও বিজ্ঞান মেলার। কলেজ পড়ুয়ারা পরিবেশন করবেন আদিবাসী নৃত্য। রজতজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে একবছর আগে দত্তক নেওয়া গ্রামে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, সমাজ সচেতনা শিবির করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ প্রাঙ্গণেও স্বাস্থ্য শিবির হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে ‘মহাবিশ্বের অভিযান’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কলকাতা বিড়লা তারামণ্ডলের প্রাক্তন ডিরেক্টর তথা মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. দেবীপ্রসাদ দুয়ারী, বিডিও দিব্যেন্দু সরকার, অনুষ্ঠান পরিচালন কমিটির কনভেনর অধ্যাপক অঞ্জন সোম, অধ্যাপক সুকুমার বাড়ই, প্রসেনজিৎ চৌধুরী সহ অন্যরা।
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দেবীপ্রসাদের হাত দিয়ে কলেজের অধ্যাপক সুকুমার বাড়ইয়ের লেখা বই ‘দিনাজপুরের আঞ্চলিক ইতিহাস’ প্রকাশিত হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় স্থানীয় জমিদাতাদের পরিবারের সদস্যদেরও সম্মাননা জ্ঞাপন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পরিবেশিত হয় কলেজের তৈরি চলচ্চিত্র ‘আলোকমুখী’। যা জাতীয় স্তরে একাধিক পুরস্কার পেয়েছে। পড়াশোনা, খেলাধুলো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কলেজ পড়ুয়াদের সাফল্য এবং কলেজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তথ্যচিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়।
বিধায়ক মোশারফ জানান, ইতিমধ্যে ইটাহার কলেজ একাধিক সাফল্য পেয়েছে। আগামীতে আরও এগিয়ে যাক এই আশা করব। আমিও পরিকাঠামোগত উন্নয়নে কলেজ কর্তৃপক্ষের পাশে আছি।