• মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বিএলওর
    বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের মেমারি-২ ব্লকে ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি করার সময় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এক বিএলও। পরিবারের দাবি, কাজের চাপ নিতে না পেরে নমিতা হাঁসদা(৬০) নামে ওই বিএলও শনিবার দুপুরে ফর্ম বিলি করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতের দিকে তিনি মারা যান। তিনি চকবলরাম গ্রামের অঙ্গনাওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজার ছিলেন। মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের চকবলরাম গ্রামের ২৭৮ নম্বর বুথের বিএলও হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন। মৃতার স্বামী মাধব হাঁসদা বলেন, স্ত্রী বিএলও হওয়ার পর খুব চাপে ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে চিন্তা করত। বাড়িতে এসে আর অন্য কাজ করতে পারত না। ঠিকমতো খেতেও পারছিল না। এসআইআরের কাজের চাপ না থাকলে হয়তো এমন হতো না। স্থানীয়রা বলেন, শনিবার দুপুরে তিনি বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিলি করছিলেন। দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে। অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার মতোও অবস্থা ছিল না। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর মহম্মদ ইসমাইল বলেন, এসআইআর নিয়ে রাজ্যজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পরিকাঠামো তৈরি না করেই নির্বাচন কমিশন এসআইআরের কাজ শুরু করেছে। বিএলওদের উপর কাজের ব্যাপক চাপ রয়েছে। বিএলওদের একাংশের অভিযোগ, এসআইআরের জন্য অল্প সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে। তারপর একটু এদিক সেদিক হলেই শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে। এসব কারণে বহু বিএলওর রাতের ঘুম চলে গিয়েছে। মেমারি-২ ব্লকের ওই বিএলও বাড়িতে কাজের চাপের কথা বহুবার জানিয়ে ছিলেন। প্রশাসন জানিয়েছে, তাঁকে কালনা হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকদের বিশেষ টিম গঠন হয়। শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকায় তাঁকে কোনওভাবেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)