পাঁচদিনে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে গেল ইনিউমারেশন ফর্ম
বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: জেলাজুড়ে এসআইআরের কাজ চলছে জোরকদমে। কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। এই আবহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পাঁচ দিনে ২৫ লক্ষ মানুষের কাছে ইনিউমারেশন ফর্ম পৌঁছে দিল প্রশাসন। পাঁচ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের কাছে ফর্ম পৌঁছে যাওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। কিন্তু এই আবহে বিএলওদের (বুথ লেভেল অফিসার) বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষ। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি তো বটেই, শাসক দলের নেতারাও বিএলওদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ফর্ম বিলির জন্য যাচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। হেল্প লাইন নম্বর অর্থাৎ কন্ট্রোল রুম খুলে গোটা প্রক্রিয়ার উপর ২৪ ঘণ্টা নজর দিচ্ছে প্রশাসন। কোনও অভিযোগ এলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফর্ম বিলির ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে সবং জেলা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি বলেন, জেলা প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে গোটা প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে। প্রচুর পরিশ্রম করছেন বিএলওরা। এই কাজেও আমাদের জেলা অন্যান্য জেলার থেকে এগিয়ে থাকবে। রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া বলেন, বিএলওদের সঙ্গে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টরাও কাজ করছেন। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প খুলে মানুষকে সহযোগিতা করছেন। একজন মানুষও যাতে সমস্যায় না পড়েন সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা সহ ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশনের (এসআইআর) ঘোষণা করা হয়েছে। সেইমতো ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, জেলায় ৪ হাজার ৩৩৩ জন বিএলও রয়েছেন। ভোটারের সংখ্যা ৪০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৯৭ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ লক্ষ ২৪ হাজার ২০৩ জন ও মহিলা ভোটার ১৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৪৪ জন। প্রত্যেকের বাড়িতে ফর্ম পৌঁছে দেওয়ার কথা। এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, অনেক বিএলও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিচ্ছেন না। এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে। এছাড়া অনেক বিএলও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৪০ লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি। সেই সংখ্যক ফর্ম ছাপা হয়েছে। তার মধ্যে ২৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫৬৮টি ফর্ম মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শতাংশের বিচারে সবং ব্লকের ৮১ শতাংশ, পিংলা ব্লকের ৮০ শতাংশ, দাঁতন-২ ব্লকে ৭৭ শতাংশ, গড়বেতা-৩ ব্লকের ৭৮ শতাংশ, কেশপুর ব্লকে ৭০ শতাংশ, ঘাটাল ব্লকের ৫৭ শতাংশ, দাসপুর-২ ব্লকের ৬৯ শতাংশ মানুষ এই বিশেষ ফর্ম পেয়েছেন। এই পরিসংখ্যান ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। ৯ নভেম্বর রবিবারও বিভিন্ন বুথ এলাকায় এসআইআরের কর্মসূচি হয়েছে। কেশপুর ব্লকের বাসিন্দা তপনকুমার মণ্ডল বলেন, সুষ্ঠুভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। তবে ২০০২ সালের তালিকায় অনেকেরই নাম নেই। তাই অনেকেই দুশ্চিন্তা করছেন।