• পদ বাঁচাতে কালীঘাটে দরবার দুই পুরসভার অপসারিত প্রধানের, আমলই দিল না শীর্ষ নেতৃত্ব
    বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যোগ্যতা বা পারফরমেন্সের ভিত্তিতে পুরসভার চেয়ারম্যান বদলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় পুরপ্রধান বদল করা হয়েছে। আগামী দিনেও এই বদলের তালিকায় রয়েছে আরও কয়েকটি পুরসভা। তবে এমন ঘটনাও সামনে এসেছে, যেখানে দেখা গেল পদ চলে যাওয়ার পর তা ফের বাঁচাতে দরবার করলেন বিদায়ী দুই চেয়ারম্যান। যদিও পার্টির রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে ওই দুই বিদায়ী চেয়ারম্যানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

    গত কয়েকদিনের তথ্যে সামনে এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুরসভার চেয়ারম্যান বদলের পথে হাঁটা শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল। তাতে দেখা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ডালখোলা, কাটোয়া, কালনা, দাঁইহাট, তমলুক, এগরা, চুঁচুড়া ও বাঁশবেড়িয়া, বারাসত, বনগাঁ সহ আরও কয়েকটি পুরসভার চেয়ারম্যান বদল করেছে তৃণমূল। বেশ কয়েকটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানও বদল করা হয়েছে। তবে দলের নির্দেশ মেনে বদলের তালিকাভুক্ত অধিকাংশ চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্র জমা দেন। এতে অনীহা প্রকাশ করেছেন হাতে গোনা দু-একজন মাত্র। এরই মধ্যে আবার অন্য একটি ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে খবর, দুই পুরসভার চেয়ারম্যান কালীঘাটে ছুটে যান নিজ নিজ পদ টিকিয়ে রাখতে।

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কালীঘাটে ‘দিদির দরবার’ বসেছিল। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যা, চাওয়া-পাওয়ার কথা বলেন। প্রশাসনিক কর্তারা সেখানে থাকেন। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে আম জনতার কোনও বক্তব্য থাকলে তা গুরুত্ব দিয়ে শুনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়। রবিবার ‘দিদির দরবার’ কর্মসূচিতে যান হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলার দুই পুরসভার চেয়ারম্যান। ওই দুজনকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এই দুজন পার্টির রাজ্যস্তরের নেতাদের বোঝানোর এবং তাঁদের কাজের সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের বক্তব্য পার্টি তেমন গুরুত্ব দিতে চায়নি। সূত্রের খবর, বলা হয়েছে, দিদির দরবার কর্মসূচি পার্টির কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করার জায়গা নয়। রাজনৈতিক কোনও বিষয় সেখানে শোনা হয় না। কোনও বক্তব্য থাকলে দলকে লিখিতভাবে জানান এবং তৃণমূল ভবনে যান।

    ফলে রাজ্যস্তরের নেতৃত্বের তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, পুরসভার চেয়ারম্যান হোক বা অন্যকোনও পদ, দল কাউকে সরাবে মনে করলে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়াই একজন কর্মীর অবশ্যপালনীয় কর্তব্য। এতে ওই কর্মীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকে এবং ভুল বার্তা যায় না।
  • Link to this news (বর্তমান)