ফর্ম আটকে রেখেছে শ্বশুরবাড়ি, মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা
বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: এসআইআরের তালিকায় নাম না থাকলে দেশছাড়া করবে না তো? বিহারের এই আতঙ্কের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে আনাচে কানাচে। বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। এরই মধ্যে ছ’বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক গৃহবধূ। হুগলির ধনেখালি থানার পূর্ববনপুরের ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মা ও শিশু বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুকন্যাকে নিয়ে আশা সোরেন নামের ওই গৃহবধূ শনিবার কীটনাশক খেয়েছিলেন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ২৭ বছরের ওই গৃহবধূর নাম থাকার কথা নয়। কিন্তু তাঁর সমস্যা ছিল, প্রয়োজনীয় নথি না থাকা। উপরন্তু শ্বশুরবাড়ি তাঁর ইনিউমারেশন ফর্ম আটকে রেখেছে। ফলে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
বিবাহিত হলেও ওই তরুণী পারিবারিক সমস্যার জেরে বাবার ধনেখালির বাড়িতেই থাকতেন। দিনমজুরি করে নিজের ও মেয়ের অন্নসংস্থান করতেন। শুক্রবার তাঁর বাবার বাড়িতে এসে বিএলও এসআইআরের ফর্ম দিয়ে যান। কিন্তু আশা সোরেন হরিপালের ভোটার হওয়ায় তাঁর ফর্ম গিয়েছে শ্বশুরবাড়িতে। বিবাদের জেরে সেই ফর্ম আর পাবেন কি না, সে নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন তরুণী। পাশাপাশি, এসআইআর নিয়ে নানারকম প্রচার তো রয়েছেই। তার জেরেই মেয়েকে নিয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। তবে ইতিমধ্যেই আশার চিকিৎসার বিষয়ে তত্ত্বতলাশ শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার গৃহবধূর বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক অসীমা পাত্র। তিনি বলেন, ‘নোট বাতিলের পর বিজেপি আবার মানুষ হত্যায় নেমেছে। আশা এমনিতেই পারিবারিক সমস্যায় ছিলেন। তার উপর এসআইআরের প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়।’ গৃহবধূর ভাই অমর মুর্মু বলেন, ‘এমনিতেই শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই হয়নি। এরপর বাংলা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে ভেবে দিদি আতঙ্কে ছিল।’