অনুষ্টুপের পর শতরান সুমন্তের, সুরজের পেসে লাইনচ্যূত রেল! রঞ্জির দ্বিতীয় দিনই ৭ পয়েন্টের স্বপ্ন বাংলার
আনন্দবাজার | ১০ নভেম্বর ২০২৫
রঞ্জির চলতি মরসুমে কি প্রথম বার ৭ পয়েন্ট পাবে বাংলা? সুরতের মাঠে সেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লেরা। প্রথম ব্যাট হাতে শতরান করেছেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুমন্ত গুপ্ত। পরে বল হাতে দাপট সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের। বাংলার ৪৭৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে রেলওয়েজ় ৫ উইকেটে ৯৭। বাংলার থেকে ৩৭৭ রানে পিছিয়ে তারা।
অনুষ্টুপের শতরানে প্রথম দিনের শেষে বাংলার রান ছিল ৫ উইকেটে ২৭৩। দ্বিতীয় দিন আরও ২০১ রান যোগ করে বাংলা। ১০৩ রান থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অনুষ্টুপ ১৩৫ রানে আউট হন। ইনিংসে ১৯ চার মারেন তিনি। সুমন্ত প্রথম দিনের শেষে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন তিনি। প্রথমে অনুষ্টুপ ও তার পরে বিশাল ভাটি এবং রাহুল প্রসাদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতরান করেন সুমন্ত। ১২০ রানের ইনিংসে ১৫ চার ও দু’টি ছক্কা মারেন তিনি। বিশাল করেন ৩৬ রান। রাহুল ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৭৪ রানে শেষ হয় বাংলার প্রথম ইনিংস। রেলওয়েজ়ের বোলারদের মধ্যে কুণাল যাদব ৪ উইকেট নেন।
মহম্মদ শামি এই ম্যাচে না খেলায় বাংলার বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব ছিল সুরজের কাঁধে। নিরাশ করেননি তিনি। সুরজের বল সামলাতে হিমশিম খান রেলওয়েজ়ের ব্যাটারেরা। টপ অর্ডারের কেউ রান পাননি। পর পর উইকেট পড়তে থাকে। মাত্র ১৬ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় তাদের। চারটিই নেন সুরজ।
ধাক্কা সামলে রেলওয়েজ়ের ইনিংস ধরেন ভার্গব মেরাই ও সুরজ আহুজা। সেই জুটি ভাঙেন শাহবাজ় আহমেদ। সুরজ আউট হওয়ার পর উপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে জুটি গড়েন মেরাই। দিনের শেষ পর্যন্ত তাঁরাই ক্রিজ়ে রয়েছেন। রেলওয়েজ়ের রান ৫ উইকেটে ৯৭। মেরাই ৩৭ ও উপেন্দ্র ২০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
বাংলা এখন ৩৭৭ রানে এগিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ, রেলওয়েজ়কে ফলো অন করিয়ে হারানোর সুযোগ রয়েছে তাদের কাছে। তেমনটা করতে পারলে ৭ পয়েন্ট পাবে বাংলা। এ বারের রঞ্জির প্রথম দু’টি ম্যাচে ঘরের মাঠে জিতেছে বাংলা। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ১ পয়েন্ট পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে অনুষ্টুপদের। চতুর্থ ম্যাচে পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাঁদের। এখন দেখার তৃতীয় দিনের শুরুতে কেমন বল করে বাংলা।