দিল্লির কাছেই হাসপাতাল থেকে প্রায় ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার, ধৃত ১
বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি, ১০ নভেম্বর: কয়েকদিন আগেই এক কাশ্মীরি চিকিৎসককে শ্রীনগরে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই চিকিৎসককে জেরা করেই বড় সাফল্য পেল জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশ। দিল্লির কাছেই হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি হাসপাতাল থেকে প্রায় ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, একটি রাইফেল ও প্রচুর কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিল্লির কাছেই এত বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ কেন রাখা ছিল? তাকে কেন্দ্র করে সন্দেহ জেগেছে তদন্তকারীদের মধ্যে। তবে কী ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক রয়েছে জঙ্গিদের? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ বিগত কয়েকদিনে একাধিক জায়গা থেকে আইএস জঙ্গিরা গ্রেফতার হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্রও। এবার এই বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।ধৃত চিকিৎসক আদিল আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে বাড়ি ওই কাশ্মীরি চিকিৎসকের। শ্রীনগরে জয়েশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার লাগাচ্ছিলেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ। তখনই তাকে গ্রেফতার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। জেরায় তিনি এই বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থের সন্ধান দেন। যার উপর ভিত্তি করেই জম্মু ও কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশ ফরিদাবাদে একটি হাসপাতালে যায়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে রাসায়নিক পদার্থ ও রাইফেল। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক মুজামিল শাকিলকে। কেন এত পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ হাসপাতালে রাখা ছিল তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট দিয়ে বিস্ফোরক বানানো যায় বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে খবর পাওয়া গিয়েছিল, উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক পদার্থ আসলে আরডিএক্স। যদিও পরে পুলিশ জানায় সেটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। ধৃতদের জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।