বিক্রম দাস: কলকাতায় নারী পাচার চক্র! হোটেল ও পানশালার আড়ালে মানব ও নারী পাচার! সেই মামলায় পানশালার মালিক জগজিত সিংহের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে, বাড়ি থেকে ইডি উদ্ধার করল নোটবুক ও হার্ড ডিস্ক। বাজেয়াপ্ত সেই নোটবুক ও হার্ড ডিস্ক থেকে মিলল গুরুত্বপূর্ণ নথি।
হরিয়ানা-পাঞ্জাব ও ইউপি থেকে কত মহিলাকে এরাজ্যে পানশালা বা হোটেলে কাজ দেওয়ার নামে আনা হয়েছে, নোটবুক ও হার্ড ডিস্কের সূত্র ধরে তার তালিকা তৈরির চেষ্টায় ইডি । মানব পাচার ও নারী পাচারের টাকা কোথায় কোথায় লগ্নি করা হয়েছে তা জানতে এবার ইডির স্ক্যানারে জগজিত সিংহের পরিবারের একাধিক সদস্য। কোথায় কোথায় এই মহিলাদের পাচার করা হয়েছে তাও জানার চেষ্টায় ইডি।
ছবি সৌজন্যে বিক্রম দাস
মানব পাচার মামলায় এর আগেও গ্রেফতার হন জগজিৎ সিং । ২০১৫ সালে কেস রেজিস্টার হওয়ার পর ২০১৭ সালে বিধাননগর পুলিস দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে জগজিৎ সিংকে । অন্যদিকে আজমল সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করে বাগুইহাটি পিএস বউবাজার থেকে। এই ঘটনায় সিআইডিও তদন্ত করে। সেই তদন্তে তাঁর ও তাঁর ছেলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে।
এরপর ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে আসে মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন যা বেআইনি । ২০১৮ সালে ইডি ইসিআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করলেও সেই মামলায় প্রথমবার বাজেয়াপ্ত হয়েছে টাকা ও গাড়ি।