• ভূস্বর্গে নাশকতার ছক বানচাল করল নিরাপত্তা বাহিনী, ফরিদাবাদে উদ্ধার ৩০০ কেজি আরডিএক্স
    প্রতিদিন | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের রাজধানী দিল্লির কাছে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। পুলিসি তৎপরতায় বানচাল নাশকতার ছক। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি দল হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ৩০০ কেজি আরডিএক্স, একটি একে-৪৭ রাইফেল-সহ প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। শ্রীনগরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জৈশ-এ-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার দেওয়ার অভিযোগে উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর থেকে পুলিশ এক কাশ্মীরি ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে। সেই ঘটনার পরেই এবার উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র।

    জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদে ডাঃ আদিল আহমেদ রাথেরকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মুজাহিল শাকিল নামে অনন্তনাগের সরকারি মেডিকেল কলেজের আরেক ডাক্তারের হরিয়ানার বাড়িতে এই বিস্ফোরক এবং অস্ত্র মজুত ছিল। তাঁকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত করা হচ্ছে। এর আগে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ অনন্তনাগের সরকারি মেডিকেল কলেজে রাথেরের লকার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল এবং গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশের মিলিত অভিযানে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

    রাথেরের বিরুদ্ধে আগে অস্ত্র আইন এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনে অভিযোগ আনা হয়। ধৃত ডাক্তারের কাছ থেকে তদন্তে জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি এবার উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিদের সংগঠনে নিয়োগ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির এত কাছে বিস্ফোরক মজুতের পিছনে কী পরিকল্পনা ছিল তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত চলছে। রাজধানীর এত কাছাকাছি সকলের চোখের আড়ালে কীভাবে এত বিস্ফোরক পৌঁছাল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় জৈশ-এ-মহম্মদের প্রচারে পোস্টার পাওয়া যায়। এরপরেই শ্রীনগর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। তদন্তের সময়, সিসিটিভি ফুটেজে একজন ব্যক্তিকে পোস্টার লাগাতে দেখা যায়। তাকেই ডাঃ রাথের হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এরপরেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ গত সপ্তাহে সাহারানপুর থেকে ওই ডাক্তারকে খুঁজে বের করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

    এবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পরিচালিত ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (ওজিডব্লিউ) এবং সন্ত্রাসবাদী দলের কমান্ডারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এই অভিযানের মূল লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করে এমন পরিকাঠামো নষ্ট করা। এর মধ্যে রয়েছে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদীদের এবং তাদের আন্তঃসীমান্ত হ্যান্ডলারদের লজিস্টিক, আর্থিক এবং আদর্শগত সহায়তা প্রদান করে এমন নেটওয়ার্কগুলি ধ্বংস করা।’

    এই অভিযানগুলি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির জন্য লজিস্টিক এবং আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। জঙ্গিদের সহায়তার সব সুযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য শোপিয়ান-সহ একাধিক জেলায় ওজিডব্লিউ এবং ইউএপিএ আইনে অভিযুক্তদের বাসস্থান তল্লাশি চালানো হয়েছে। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)