সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোমা-বন্দুক নয়, এবার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে নাশকতার ছক গুজরাটে! রবিবার তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে গুজরাট এটিএস। তাদের জেরা করেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, রিকিন নামে এক বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করে কার্যত গণহত্যার ছক কষছিল ওই তিন জঙ্গি। তার জন্য একাধিক জনবহুল এলাকা রেকি করেছিল তারা।
রবিবার অস্ত্র সরবরাহের সময় হাতেনাতে তিন জঙ্গিকে ধরে গুজরাট এটিএস। দীর্ঘ একবছরের বেশি সময় ধরে ধৃত তিনজনের উপর নজর রাখা হচ্ছিল। এটিএসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতদের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইএসের সঙ্গে যোগ রয়েছে। একাধিক মডিউলের সঙ্গে যুক্ত ধৃতরা। ধৃতদের মধ্যে দু’জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। আরেকজনের বাড়ি হায়দরাবাদে। সবারই বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
রবিবার তিনজনকে জেরা করতেই জানা যায় বিস্ফোরক তথ্য। ধৃতদের মধ্যে একজন আহমেদ মহিয়াউদ্দিন সাইয়েদ। হায়দরাবাদের বাসিন্দা আহমেদ চিন থেকে ডাক্তারি পাশ করেছে। মূলত সেই রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির মূল পাণ্ডা। রিকিন ব্যবহার করে রাইজিন নামে এক বিষাক্ত পদার্থ তৈরির পরিকল্পনা ছিল তার। সেই রাসায়নিক অস্ত্রের কিছু অংশ গুজরাটের এক পরিত্যক্ত রাখা রয়েছে বলেও দাবি আহমেদের। আপাতত সেই দাবি খতিয়ে দেখছে এটিএস।
উল্লেখ্য, ত্বকের সমস্যায় ব্যবহৃত ক্যাস্টর বীজ থেকেই পাওয়া যায় এই বিষাক্ত রিকিন। ক্যাস্টর বীজ থেকে বের করা তেল ব্যবহার হয় ত্বকের জন্য। বীজের বাকি থাকা অংশ থেকেই মেলে রিকিন। এই রিকিন মানবদেহের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এখনও পর্যন্ত রিকিনের কোনও অ্যান্টিডোট মেলেনি। মূলত ত্বকের মাধ্যমে এবং শ্বাসের মাধ্যমে এই রিকিন মানবদেহে প্রবেশ করে। অতিরিক্ত মাত্রায় রিকিন মানবদেহে প্রবেশ করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই রাসায়নিক ব্যবহারের নিদর্শন অপরাধ জগতের ইতিহাসে খুব বেশি মেলে না। রিকিন ব্যবহার করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করাও খুবই কঠিন।