• ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড়, এ বার মহিলা চিকিৎসকের গাড়ির ডিকিতে মিলল ‘অস্ত্র ভাণ্ডার’
    এই সময় | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • রবিবার দিল্লির ফরিদাবাদ থেকে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট-সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এ বার উঠে এল আরও এক চিকিৎসকের নাম। জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদের আল ফালাহ হাসপাতালে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসকের গাড়ির ডিকি থেকে উদ্ধার হয়েছে পিস্তল, অ্যাসাল্ট রাইফেল-সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল সাকিলকে জেরা করেই মিলেছে এই তথ্য। সন্দেহভাজন এই মহিলা চিকিৎসকও সাকিলের সহকর্মী।

    শ্রীনগরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথেরকে। অনন্তনাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসকের লকার থেকে মেলে আস্ত AK-47 রাইফেল-সহ গোলাগুলি। এর পরেই ওই চিকিৎসককে জেরা করে উঠে আসে হরিয়ানার এই হাসপাতাল ও চিকিৎসক মুজাম্মিল সাকিলের নাম। এর পরেই যৌথ অভিযানে নামে জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশ। সেখানেই সন্ধান মেলে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট-সহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাগুলি।

    তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে সাকিল ফরিদাবাদের আল-ফালাহ স্কুল অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে একজন সিনিয়র ডাক্তার হিসেবে কাজ করছিলেন। হাসপাতালে ক্যাম্পাসেই থাকতেন তিনি। তবে ধোজেও একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। সেই ঘর থেকেই মিলেছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও নানা সামগ্রী। যা বম্ব বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, ৮টি বড় স্যুটকেস এবং ৪টি ছোট স্যুটকেসে ভরা ছিল প্রায় ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এ ছাড়া ৫ কেজি হেভি মেটাল, ওয়াকি-টকি সেটস, ২০টি ব্যাটারি-সহ টাইমার, ২৪টি রিমোট কন্ট্রোল, প্রচুর ইলেকট্রিক তার এবং লুজ় ব্যাটারি।

    দশ দিন আগে তার সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর ডাঃ সাকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরার মুখে সে পুলিশকে তাঁর সহকর্মীর ভাড়া করা ঘর এবং সুইফট গাড়ির কথা জানায়। ফরিদাবাদের কোড HR 51 দিয়ে শুরু হওয়া মারুতি সুজুকি সুইফট গাড়িটিতে তল্লাশি চালাতেই মেলে একটি AK-74 অ্যাসল্ট রাইফেল, ম্যাগাজিন, ৮৩ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি, ২টি খালি কার্তুজ এবং আরও ২টি ম্যাগাজিন। ওই গাড়িটি যে মহিলা চিকিৎসকের তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    রাজধানীর উপকণ্ঠে হরিয়ানার হাসপাতাল ও তার কাছের এমন হাইসিকিউরিটি জ়োনে কী ভাবে এত বিস্ফোরক মজুত করা হলো, কোন পথেই বা তা আনা হলো, আর কে কে এই নেটওয়ার্কে জড়িত? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, রাজধানীতে বড় কোনও নাশকতার ছক কষেছিল এই সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দুই চিকিৎসক-সহ মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)