• মারাত্মক বিষ নিয়ে জঙ্গি হামলার ছক, গুজরাট ATS-এর হাতে চিকিৎসক-জঙ্গি
    এই সময় | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • মারাত্মক বিষ বানানোর অভিযোগে সম্প্রতি গুজরাটের অ্যান্টি টেররিজ়ম স্কোয়াডের হাতে ধরা পড়েছিল তিন জন। ধৃতরা সকলেই সন্দেহভাজন আইসিস জঙ্গি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের মধ্যে এক জন চিকিৎসক। সোমবার গুজরাট এটিএস জানিয়েছে, অভিযুক্তরা রাইজ়িন নামে মারাত্মক একটি বিষ তৈরির কাজ চালাচ্ছিল। তার সঙ্গে দেশের তিনটি শহরের ঘিঞ্জি এলাকার বাজারে রেইকিও করেছিল।

    গুজরাট এটিএস জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক জন চিকিৎসক আহমেদ মহিয়ুদ্দিন সইদ। বছর পঁয়ত্রিশের এই যুবক আদতে হায়দরাবাদের বাসিন্দা। সে রাইজ়িন নামে একটি মারাত্মক বিষ তৈরির কাজ করছিল। ক্যাস্টর অয়েল যে বীজ থেকে তৈরি হয়, সেই বীজ থেকেই তৈরি হয় এই বিষ। ৭ নভেম্বর গুজরাট এটিএস তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ৬ মাসে দিল্লির আজ়াদপুর মান্ডি, আমেদাবাদের নারোদা ফলের বাজার, লখনউ-এর আরএসএস অফিস এলাকায় রেইকি চালিয়েছিল আহমেদ। বাকি দুই ধৃত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।

    রাইজ়িন বিষ হিসেবে বহুল পরিচিত। প্রাচীন সভ্যতাতেও এই ধরনের বিষ ব্যবহারের প্রমাণ মেলে। ক্যাস্টর অয়েলের বীজ থেকে এই বিষ তৈরি হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই বিষকে অস্ত্র হিসেবে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটিই খুঁজছিল ধৃত চিকিৎসক-জঙ্গি। তার জন্য যাবতীয় গবেষণা, যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল জোগাড় করছিল অভিযুক্তরা। বেশ কিছুটা কাজ শুরুও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

    গোটা বিষয়টিতে নজর রেখেছে এটিএস এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কোন জায়গা থেকে কাঁচামাল জোগাড় করা হয়েছে, তারও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, আইসিস নেটওয়ার্কের একাধিক স্লিপার সেল নানা রাজ্যে কাজ করছে। সেই নেটওয়ার্কেরই অংশ এটি।

    তিন জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি একাধিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ২টি গ্লক পিস্তল, একটি বেরেটা পিস্তল, ৩০টি গুলি, চার লিটারের ক্যাস্টর অয়েল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    ধৃত আহমেদ মহিয়ুদ্দিন সইদ চিন থেকে ডাক্তারি পাশ করেছে। আইসিস খোরাশান জঙ্গি সংগঠনের সদস্য আবু খাদিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এর।

  • Link to this news (এই সময়)