নয়াদিল্লি, ১০ নভেম্বর: দিল্লি এয়ারপোর্টে এটিসির সিস্টেমে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে কয়েকদিন আগেই ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয়। দিল্লিতে আটশোর বেশি ফ্লাইট হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ছিল অথবা বাতিল করে দেওয়া হয়। এই রেশ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশের একাধিক এয়ারপোর্টে। বিমান যাত্রীদের লম্বা লাইন, মুখে একরাশ হতাশা ফুটে ওঠে। কার্যত দিল্লি সহ গোটা দেশের উড়ান পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়। দিল্লি বিমানবন্দর নিয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া দিশাহারা হয়ে যায়। বিমান পরিচালনার মেরুদণ্ড এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম ধাক্কা খায়। অটোমেশন সফটওয়্যার আচমকা ওভারলোড হওয়ার পরই সন্দেহ করা হয়েছিল, এটি ম্যালওয়ার আক্রমণ।সফটওয়্যার চালিত আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে যে বিমান পরিবহণের তাবৎ সিস্টেম পরিচালিত হয়, সেই প্রধান ব্যবস্থায় ধস নেমেছে। সন্দেহ ছিল তাহলে কি সাইবার অ্যাটাক? যে আশঙ্কা ছিল অনেকদিন ধরেই। যদিও প্রাথমিকভাবে সাইবার অ্যাটাকের সম্ভাবনা এয়ারপোর্ট অথরিটি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রক উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু ম্যালওয়ারের আক্রমণ নিয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু হয় এবং উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দিল্লি এয়ারপোর্টের এটিসির ত্রুটির পিছনে থাকতে পারে জিপিএস স্পুফিং। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কী এই জিপিএস স্পুফিং? জানা গিয়েছে, জিপিএস স্পুফিং হল এক ধরণের সাইবার অ্যাটাক যেখানে ভুয়ো স্যাটেলাইট সংকেত প্রেরণ করা হয়। যাতে নেভিগেশন সিস্টেমগুলিকে তাদের আসল অবস্থান সম্পর্কে বিভ্রান্ত করা বা ঠকানো হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবার আসরে নেমেছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের দপ্তর। দিল্লি এয়ারপোর্টের গোলযোগ আদপে জিপিএস স্পুফিং নাকি সাইবার অ্যাটাক তা খতিয়ে দেখছে ডোভালের দপ্তর। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সহকারী নবীন কুমার সিং। তিনি ডোভালের দপ্তরের অধীনে কাজ করেন।