জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ভাবছে বাংলাকে ভাত মারো'। উত্তরবঙ্গে সফরে গিয়ে ফের কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বললেন, 'হিংসার কোনও ওষুধ নেই। ওরা জানে না, বাংলার সবচেয়ে বড় মেধা বাংলার মানুষ। বাংলার মাটি অনেক কথা বলে। যা অনেকে চোখে দেখতে পারে না'।
দুর্যোগ কেটে গিয়েছে। বন্যারও জলও নেমেছে। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ফের উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী। এদিন শিলিগুড়ি উত্তরকন্যা পাঁচ জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ভাচুয়ালি সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরাও। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সম্প্রতি যে ঝড় বন্য়া, যে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেল। জল ছাড়ার ফলে, একদিকে অতিবৃষ্টি, অন্য়দিকে সিকিম ও ভূটানের জল ছাড়ার ফলে। উত্তরবঙ্গে যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়ং, মিরিক, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মাটিগাড়া থেকে শুরু করে, নকশালবাড়ি থেকে শুরু করে, বিভিন্ন জায়গায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভীষণভাবে। দক্ষিণবঙ্গেও অনেক জায়গায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে'।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'আমরা কথা দিয়েছিলাম চাকরি দেব। ৫ লক্ষ টাকা করে দেব। দিয়ে দিয়েছি। আর বাকি ছিল যেটা, বিল্ডিং তৈরির টাকা দেওয়া কথা ছিল। রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দুধিয়া সেতু হচ্ছে। পাশে একটা পাকা সেতুও হচ্ছে মিরিকে। বাদ বাকি যে সমস্ত কাজ, সেই কাজগুলি চলছে। কৃষি জমি সমীক্ষা চলছে, তারপর এরা শস্যবিমাও পাবে'।
এদিন উত্তরকন্যা থেকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আজকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পুর্ননিমাণের জন্য সব জেলায় মিলিয়ে ১৪, ৭৯৪ পরিবারকে মোট ১৬১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা দিচ্ছি। সরাসরি ব্য়াঙ্কের মাধ্যমে পেয়ে যাবে। বন্যা কবলিত ১ লক্ষ ৩৭ হাজার কৃষকের মধ্যে ফসলের বীজ, সবজি বীজ, অন্যন্য কৃষি উপকরণও বিতরণ করা হল। এটার জন্যও ১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর, ২০২১-২২ পর্যন্ত প্রায় ৪৬ লক্ষ বাংলার বাড়ি আমরা করে দিয়েছি। এবছরও আমরা, যদিও চার বছর ধরে সব টাকা বন্ধ, কোর্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও একশো দিনের কাজে টাকা চালু করা হয়নি। আমাদের কর্মশ্রী প্রকল্প চলছে। মানুষ কাজ পাচ্ছেন। গ্রামীণ রাস্তার কাজও বন্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের টাকা জিএসটি থেকে তুলে নিচ্ছে, আর দেওয়ার বেলায় অন্য রাজ্যকে দিয়ে দিচ্ছে'।