দিব্যেন্দু সরকার: রিচার্জ ও বকাবকি ঘিরে চরম পরিণতি। খানাকুলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। ফোনে রিচার্জ করা এবং স্নান করা নিয়ে পরিবারের সামান্য বকাবকির জেরে চরম পরিণতি ঘটাল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের হরিশচক এলাকায়।
১৪ বছরের শুভশ্রী বর নামে মৃত ওই ছাত্রী হরিশ্চক হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। শনিবার বিকেলে তার নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সামান্য বকাবকিতেই চরম সিদ্ধান্ত তার। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে শুভশ্রীকে ফোনে রিচার্জ এবং স্নান করা নিয়ে সামান্য বকাবকি করা হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ যে সে এমন মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তা তারা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি।
পরিবারের লোকজনের চোখে প্রথম শুভশ্রীর ঝুলন্ত দেহ ধরা পড়ে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নতিবপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনা জানাজানি হতেই খানাকুল থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দেহ উদ্ধার করে রবিবার আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী কারণে শুভশ্রী আত্মহত্যার মত চরম পথ বেছে নিল, তা খতিয়ে দেখছে খানাকুল থানার পুলিস। তবে পরিবারের প্রাথমিক অনুমান, সামান্য বকাবকির জেরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই আইফোন না কিনে দেওয়ায় আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির ছাত্র দীপাঞ্জন দাস (১৭)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপাঞ্জন নিমপীঠ আশ্রমের নবম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের শানকিজাহান এলাকার।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে প্রায় ৩২ হাজার টাকা দিয়ে তাকে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে দিয়েছিলেন তার বাবা, ভাষ্কর দাস, যিনি পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু জন্মদিন উপলক্ষে আবারও সে মা-বাবার কাছে আইফোন কিনে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। পরিবার তা অস্বীকার করায় দীপাঞ্জন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। খাওয়াদাওয়া ঠিকমত করছিল না, গত সোমবার বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭
২৪x৭ টোল-ফ্রি মানসিক স্বাস্থ্য পুনর্বাসন হেল্পলাইন-- কিরণ (১৮০০-৫৯৯-০০১৯)