জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জামিনে মুক্ত হওয়ার আগে যত টুকু সাক্ষ্যগ্রহন করার প্রয়োজন ছিল, সেই সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। অপরদিকে আদালত জামিন সংক্রান্ত পরবর্তী রিলিজ অর্ডার রিজার্ভ রেখেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল মুক্তি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশমত সিবিআইয়ের দেওয়া আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর এবার জেল মুক্তির নির্দেশ পার্থকে। আজ অষ্টম সাক্ষী তথা এসএসসির এক অফিসারের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।ইতিমধ্যেই পার্থর জামিনের শর্ত হিসেবে 90 হাজার টাকা জমা পড়ে গিয়েছে। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রিলিজ অর্ডার দিলেই তা জমা পড়বে প্রেসিডেন্সি জেলে। তারপর ঘরে ফেরা। বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন পার্থ। পার্থর সঙ্গেই মুক্তি পাচ্ছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহের চূড়ান্ত জামিন মঞ্জুর করল আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালত।
SSC-র শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ২০২২ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ওই বছরের ২২ জুলাই পার্থ’র দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাশি রাশি টাকা। এর আগে একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়েছেন পার্থ। পরে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হন। গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, শর্তসাপেক্ষে জামিন পেতে পারেন পার্থ। তবে তার আগে চার্জ গঠন ও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের বয়ান সংগ্রহ শেষ হলে তবেই জেল থেকে বাড়ি ফিরতে পারবেন পার্থ।
প্রসঙ্গত, মাস দু’য়েক আগে এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সিবিআইয়ের মামলায় শীর্ষ আদালত ওই তিনজনের শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করেছিল। চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার পর চূড়ান্ত জামিন মঞ্জুর করবে নিম্ন আদালত বলে শর্ত দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এরপরই সিবিআইয়ের তরফে আলিপুরের বিশেষ আদালতে আট জন সাক্ষীর তালিকা পেশ করা হয়। সোমবার অষ্টম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। তার পরই ওই তিনজনের চূড়ান্ত জামিন মঞ্জুর হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্থর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। তবে জামিন মঞ্জুর হলেও সোমবার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল মুক্তির সম্ভাবনা কম। পার্থর আইনজীবী বলেন, ‘জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর আরও কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। ওই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে। মঙ্গলবার সকালের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাসপাতাল থেকে বাড়িতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’