‘সীতার গড়’ কার হাতে? তিন নারীর ত্রিমুখী লড়াই দেখবে বিহার
প্রতিদিন | ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা সীতার আবির্ভাবভূমি। সেই পুণ্যস্থানের ‘দখল’ নেবে কে? সেই সিদ্ধান্ত নিতে ভোটের রণাঙ্গনে নেমেছেন তিন নারী। বিজেপি এবং আরজেডির টিকিটে লড়ছেন দুই প্রার্থী। কিন্তু তৃতীয়জন নির্বাচনে লড়ছেন নির্দল হিসাবে, কারণ আরজেডি থেকে টিকিট মেলেনি। সব মিলিয়ে বিহার ভোটে এক অন্যরকম ভূমিকা নিচ্ছে সীতামঢ়ি জেলার পারিহার কেন্দ্র।
কথিত আছে, বিদেহরাজ জনকের রাজধানী ছিল মিথিলায়। জনকপুরেই হলকর্ষণের সময় উঠে এসেছিলেন সীতামাতা। তাঁকে কন্যা হিসেবে গ্রহণ করেন জনক। বিদেহ রাজ্য ছিল আজকের পূর্ব বিহার থেকে নেপাল পর্যন্ত। জনকপুর এখন নেপালেই অবস্থিত। কিন্তু যেখানে সীতার আবির্ভাব সেই স্থানই আজকের সীতামঢ়ি হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই সীতামঢ়িকেই সীতামাতার জন্মস্থান হিসাবে গণ্য করা হয়। এই মিথিলাঞ্চল এবং সীতামঢ়ি-সহ গোটা বিহারেই সীতামাতাকে ঘিরে আলাদা আবেগ কাজ করে। সেই সীতামঢ়ি জেলার অন্যতম প্রধান বিধানসভা কেন্দ্র পারিহার। এবার সেখানে মহিলাদের ত্রিমুখী লড়াই দেখা যাবে।
প্রথমজন বিজেপি প্রার্থী গায়ত্রী দেবী, গত দু’বার এই কেন্দ্রের বিধায়ক। এবার হ্যাটট্রিকের দৌড়ে নামছেন তিনি। গায়ত্রীকে সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন যোগাবে সীতামন্দির। মাস কয়েক আগেই অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, রামচন্দ্রের জন্মস্থানে যেমন মন্দির নির্মাণ হয়েছে, তেমনই সীতার আবির্ভাবস্থলেও হবে নতুন মন্দির। সীতামঢ়িতে সীতামাতার যে মন্দির রয়েছে, সেটিকেই সংস্কার করে বিরাট আকারে গড়ে তোলা হবে। সীতামাতার আবেগে ভরসা করে বিপুল ভোট যেতে পারে গায়ত্রীর ঝুলিতে।
অন্যদিকে আরজেডির প্রার্থী স্মিতা পূর্বে। দলের চিরকালীন ভোটব্যাঙ্ক যাদব এবং মুসলিমদের উপর ভরসা রেখেছেন তিনি। শ্বশুরমশাই রামচন্দ্র পূর্বের জনপ্রিয়তাও স্মিতার ভরসা। কিন্তু এই কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী আরজেডির রাজ্য মহিলা সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ঋতু জয়সওয়াল। তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেয়নি লালুর দল। কিন্তু ঋতু জানাচ্ছেন, জনতার ভালোবাসাকে পুঁজি করেই ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। শেষ পর্যন্ত পারিহারের জনমত কোন দিকে যাবে?