উদ্ধার আরও ২৫০০ কেজি বিস্ফোরক! সন্দেহভাজন জঙ্গির দ্বিতীয় বাড়ি তল্লাশিতে স্তম্ভিত পুলিশ
প্রতিদিন | ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন বিস্ফোরকের পাহাড়। প্রথম বাড়ি থেকে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধারের পর এবার আরও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের হদিশ। সন্দেহভাজন জঙ্গি চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিলের দ্বিতীয় ভাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হল আরও ২৫০০ কেজি বিস্ফোরক। হরিয়ানার ফরিদাবাদে জোরকদমে চলছে তল্লাশি অভিযান। শোনা যাচ্ছে, অভিযান চলাকালীন একজন ইমামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, ওই ইমামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল শাকিলের।
সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং হরিয়ানা পুলিশের একটি যৌথ দল হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ৩৫০ কেজি অ্যামনিয়াম নাইট্রেট, একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল-সহ প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। শ্রীনগরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার দেওয়ার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে পুলিশ এক কাশ্মীরি ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করেই একটি গাড়ি ও শাকিলের অভিযুক্তের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এই সব মারণাস্ত্র। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে সন্দেহজনক ওই গাড়িটি এক একজন মহিলা ডাক্তারের। তবে প্রথম দফার তল্লাশিতে যা পাওয়া গিয়েছিল তা ছিল হিমশৈলের চূড়ামাত্র।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথম বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর শাকিলের দ্বিতীয় বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এই বাড়িটি ধোজ থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে ফতেহপুর তাগা গ্রামে অবস্থিত। সেখানেই পাওয়া যায় আরও ২৫৬৩ কেজি বিস্ফোরক। সব মিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক। এই সমস্ত বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যা আইইডি বোমা তৈরির উপকরণ। ভারতের মাটিতে বড়সড় নাশকতা ছড়াতে এই সব বিস্ফোরক মজুত করেছিল ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক শাকিল।
এদিকে এই মামলার তদন্তে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ (এজিইউএস) সংগঠনের একটি সন্ত্রাসী মডিউলের সন্ধান পেয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে এখন পর্যন্ত দুই চিকিৎসক সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।