এনুমারেশন ফর্ম পাননি! ‘চিন্তায়’ ছ’বছরের মেয়েকে নিয়ে বিষ খেলেন হুগলির বধূ, ‘আতঙ্কে’ হৃদ্রোগে আক্রান্ত আরও এক
আনন্দবাজার | ১০ নভেম্বর ২০২৫
বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) এসেছিলেন বাড়িতে। বাড়ির সকলকে এনুমারেশন ফর্মও দিয়েছেন। পাননি শুধু তিনিই। তার পর থেকেই দুশ্চিন্তা! শেষমেশ নিজের ছ’বছরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন হুগলির ধনিয়াখালির এক বধূ।
ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত সোমসপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কানানদী এলাকার ঘটনা। আত্মহত্যার চেষ্টা করা বছর সাতাশের সেই বধূ এবং তাঁর মেয়েকে শনিবার সকালে প্রথমে ধনিয়াখালি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পরিবার সূত্রে খবর, বছর দশেক আগে হরিপালে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবতীর। সেখানে পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি ধনিয়াখালিতে বাপের বাড়িতে ফিরে যান। মেয়েকে নিয়ে গত চার বছর সেখানেই থাকছিলেন। বাপের বাড়ির লোকেরা সকলে এনুমারেশন ফর্ম পেলেও, পাননি শুধু ওই যুবতী। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গেও যোগাযোগ নেই। ফলে সেখানে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানারও উপায় নেই। পরিবারের দাবি, এ সব নিয়ে চিন্তা করতে করতেই মানসিক অবসাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই বধূ।
বধূর দাদা অমর মুর্মু বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই ভোটার তালিকায় বোনের নাম ছিল। এখানে কিছু না থাকায় ও এসআইআর ফর্ম পায়নি। আমি বলেছিলাম অনলাইনে বার করে নিতে। কিন্তু খুবই দুশ্চিন্তায় ছিল কী হবে এই ভেবে।’’
বধূর বাপের বাড়িতে রবিবার যান ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানার পরেই দু’জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। সব রকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। আমরা পরিবারের পাশে আছি।’’
ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন বা এসআইআর নিয়ে আতঙ্কে পূর্ব বর্ধমানের কালনাতেও ক্ষিতীশ শর্মা নামে এক ব্যক্তি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, কালনার মহাপ্রভু পাড়া এলাকার বাসিন্দা ক্ষিতীশের নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। ক্ষিতীশের ছোটবেলাতেই তাঁর মা-বাবার মৃত্যু হয়েছিল। তাই তাঁদের নামও নেই। এ সব নিয়ে আতঙ্কেই তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি।