• বৃষ্টির জমা জল দ্রুত সরাতে তিন কোটির পুর প্রকল্প মহেশতলা সংলগ্ন এলাকায়
    আনন্দবাজার | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • বর্ষা এলেই মহেশতলা সংলগ্ন কলকাতা পুরসভার ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ বার তার সুরাহায় নতুন পদক্ষেপ করছে কলকাতা পুরসভা। বেগড় খাল পাম্পিং স্টেশন থেকে মূল খাল পর্যন্ত জল দ্রুত নামানোর জন্য বসানো হবে নতুন পাইপলাইন।

    পুরসভার নিকাশি বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, বেগড় খাল নিকাশি পাম্পিং স্টেশন থেকে অমর্ত্যনগর কালভার্ট (বড় পোল) পর্যন্ত ১৩০০ মিলিমিটার ব্যাসের পাইপ বসানো হবে। প্রকল্পের আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ৩.৩০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ জিএসটি এবং ১ শতাংশ সেস অন্তর্ভুক্ত। তহবিল আসছে রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতর থেকে।

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ই-টেন্ডারের মাধ্যমে এই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। তিনটি সংস্থা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়া সংস্থা নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় ১.২৫ শতাংশ বেশি দরে প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে দরপত্র কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে দর বিনিময়ের পরে পুরসভার নির্দিষ্ট করে দেওয়া মূল্যেই (‘অ্যাট পার’) চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    পুরসভা সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বেগড় খালের জল নিকাশির ক্ষমতা বাড়ানো। বর্তমানে ভারী বৃষ্টি হলে জমা জল বেগড় খাল পাম্পিং স্টেশন থেকে পাশের শাখা খালের মাধ্যমে বেরোতে না পেরে আশপাশের এলাকায় জমে যায়। ফলে, স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায়ই জল-যন্ত্রণার কবলে পড়েন। এই প্রকল্পে প্রস্তাবিত নতুন পাইপলাইন বসানো হলে মূল খালে জল নিষ্কাশন সহজ হবে, ফলে এলাকায় জল জমার সমস্যা অনেক কমবে বলে আশা পুরসভার।

    পুরসভার নিকাশি বিভাগের এক আধিকারিক জানান, “বেগড় খাল পাম্পিং স্টেশন থেকে বর্তমানে শাখা খালে জল নেমে গিয়ে আটকে পড়ে, যার ফলে সংলগ্ন এলাকায় জল জমে যায়। নতুন পাইপ বসানো হলে জল সরাসরি মূল খালে গিয়ে পড়বে।” পুরসভার অর্থ, আইন ও হিসাব বিভাগ ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মেয়র পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাব আনা হবে।

    পুরসভা সূত্রের খবর, এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে অমর্ত্যনগর, বেগড় খাল এবং লাগোয়া অঞ্চলে বর্ষার জলমগ্ন অবস্থা অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)