• নরেন্দ্র মোদী নিজেও তো এখানে এসে বলেছেন, ‘আমার সোনার বাংলা’! আসলে মূর্খ রাজনীতিকে ভরে গিয়েছে: নচিকেতা
    আনন্দবাজার | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই গান নিয়ে চলছে তরজা। তার কারণ এই গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এ বার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নচিকেতা চক্রবর্তী।

    রবীন্দ্রনাথের রচিত এই গান গাওয়ায় ক‌ংগ্রেসের সদস্য বিধূভূষণ দাসের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তার পর থেকেই রাজনীতির ময়দানে এই গান নিয়ে বিতর্ক। এই প্রসঙ্গে নচিকেতার প্রথম প্রতিক্রিয়া, “এটা আমাদের গান। রবীন্দ্রনাথের গান মানে এটা আমার দেশের গান। আসলে আমাদের দেশের রাজনীতিকরা খুবই মূর্খ! এদের আর কিছু বলতে ইচ্ছে করে না। এদের শুধু করুণা করা যায়।”

    পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও একাধিক বার ‘আমার সোনার বাংলা’ রব শোনা গিয়েছে। মনে করিয়ে দেন নচিকেতা নিজেই। তিনি বলেন, “দুর্গাপুরে এসে নরেন্দ্র মোদী নিজেই তো বলে গিয়েছিলেন ‘আমার সুনার বাংলা’। তখন তো কিছু হল না। তার মানে স্পষ্ট, এর সঙ্গে দেশের কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে কতগুলো লোক বাঁদরামি করছে।”

    মঞ্চে এই গান গেয়েছেন নচিকেতা নিজেও। অনুষ্ঠানের মঞ্চ শুধু নয়। রাজনীতির মঞ্চেও এই গানের পঙ্‌ক্তি শোনা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে গায়ক বলেছেন, “বহু বার গেয়েছি। কেন গাইব না! রবীন্দ্রনাথের গান গাইব না কেন? আসলে আমাদের দেশের এই রাজনীতিবিদগুলোকে ঘাড় ধরে বার করে দেওয়া উচিত।”

    গানের মাধ্যমে বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিবাদ জানান নচিকেতা। গায়ক বলেছেন, “আমার প্রতিবাদের কোটা শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি অনেক প্রতিবাদ করেছি। এ বার মানুষ কিছু করুক। মানুষেরই বা সময় কোথায়? কার বিরুদ্ধেই বা প্রতিবাদ করবে!”

    আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। নচিকেতা মনে করেন, এই ধরনের বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে কোনও ভাবেই এই রাজ্যে কিছু করতে পারবে না পদ্মশিবির। তাঁর কথায়, “কিছুই করতে পারবে না। জিতছে তো ভোটচুরি করে। সেটাও তো প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করছে। এই ভাবে কি আর হয়!”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)