• দুর্গাপুরে মেডিক্যাল পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় চার্জ গঠন আদালতে, রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান দুই অভিযুক্তের
    এই সময় | ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • দুর্গাপুরে মেডিক্যাল পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে আদালতে চার্জ গঠন হলো। এই ঘটনার ১৯ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। এই মামলায় অভিযুক্ত শেখ রিয়াজউদ্দিন ও সফিক শেখকে রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এ দিন আদালতে বিচারক লোকেশ পাঠক আলাদা করে রিয়াজউদ্দিন ও সফিকের সঙ্গে কথা বলেন। দু’জনই রাজসাক্ষী হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে বলে জানান সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়।

    আগামী ১৯ তারিখ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। ওইদিন এআরটিও , বিএলআরও ও একটি ই-কর্মাস সংস্থাকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে তিনজনের কাছ থেকে তিনটি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। সেই বাইকের তথ্য যাচাই করার জন্য এআরটিওকে ডাকা হচ্ছে। কলেজের অদূরে পরাণগঞ্জের জঙ্গলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই জঙ্গলের চরিত্র জানার জন্য বিএলআরওকে ডাকা হচ্ছে। ঘটনার দিন একটি ই-কর্মাস সংস্থা থেকে কিছু অর্ডার করেছিল নির্যাতিতা ছাত্রী ও সহপাঠী ছাত্র ওয়াসিফ আলি। খাবার না অন্য কোনও সামগ্রী অর্ডার দেওয়া হয়েছিল।সেটা জানার জন্য ওই ই-কর্মাস সংস্থা কর্তৃপক্ষকে ডাকা হচ্ছে।’

    আদালতে এ দিন ওয়াসিফের জামিনের জন্য আবেদন করেন তার আইনজীবী শেখর কুন্ডু। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত যে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে সেই অনুযায়ী ধর্ষণের সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন না ওয়াসিফ আলি। প্রমাণ হিসেবে যে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখা যাচ্ছে, তা থেকে পরিষ্কার ঘটনার সময় ওই জায়গায় ছিল না ওয়াসিফ। নির্যাতিতা ছাত্রী ও ওয়াসিফের ফোনালাপ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দু’জনের মধ্যে যৌনতা সংক্রান্ত চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়। শরীরে অপত্তিজনক জায়গায় হাত দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ফিঙ্গারিং ও ওরাল সেক্সের কথা বলা হয়েছে। তা হলে ধর্ষণ হলো কী করে?

    সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন ‘একটা ঘরে কেউ যদি ধর্ষণ করে আর বাইরে দু’জন পাহারা দেয় তা হলে নতুন আইন অনুযায়ী তারাও সমান দোষী।’ এরপর দেশে এই ধরনের একাধিক মামলার উদাহরণ আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর ওয়াসিফের জামিনের আবেদন বাতিল করে দেন বিচারক।

  • Link to this news (এই সময়)