তাড়াহুড়োয় প্রক্রিয়ায় থাকতে পারে গলদ, এসআইআর ‘বিরোধিতা’য় এবার সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল
প্রতিদিন | ১১ নভেম্বর ২০২৫
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বঙ্গ বিধানসভা ভোটের বাকি কয়েকটা মাস। এর মধ্যেই বাংলায় শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। যদিও এত কম সময়ে এসআইআর করার কেন এত তাড়াহুড়ো? তা নিয়ে আজ সোমবার উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এসআইআরের নামে রাজ্যে ‘সুপার এমার্জেন্সি’র পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তোপ দাগেন প্রশাসনিক প্রধান। এর মধ্যেই এবার এসআইআর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল।
বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ মালা রায় এবং দোলা সেন। মঙ্গলবারেই এই সংক্রান্ত শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। আবেদনে শাসকদলের দাবি, পরিকাঠামো ছাড়াই এসআইআর শুরু হয়েছে বাংলায়। তাড়াহুড়োয় প্রক্রিয়ায় গলদ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা। এমনকী বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়ে যেতে পারে বলেও আবেদনে উল্লেখ তৃণমূলের। এখন দেখার মামলার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়।
বলে রাখা প্রয়োজন, এসআইআর নিয়ে এদিন উত্তরবঙ্গ থেকে একযোগে কমিশন এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কেন তোমাদের জন্য এত প্রাণ যাবে জানতে চাই। শকুনিবাবুরা লজ্জা করে না। নোটবন্দি শুনেছিলেন তো, আর এসআইআর হল ভোটবন্দি। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে, আপনি আপনাকে চেনেন। এর থেকে বড় অসম্মান কী হতে পারে? দু’বছর সময় দিতে পারত। এত কিসের তাড়াহুড়ো? মানুষকে বঞ্চিত, লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। নোট হবে না। ঘোঁট হবে।”
শুধু তাই নয়, এসআইআরের নামে সুপার ইমার্জেন্সির পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগেন। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব কেন্দ্রের বিএসএফের হাতে। তাই অনুপ্রবেশের দায় কেন অমিত শাহ নেবেন না, সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা। অনুপ্রবেশের দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে অমিত শাহের ইস্তফার দাবিতে সুর চড়ান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।