নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: লালকেল্লার সামনে ছড়িয়েছিটিয়ে দেহাংশ। এখনও বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া গাড়ির থেকে ধোয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে। তদন্ত চালাচ্ছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)। কিছু দূরেই বসে রয়েছেন নীল চেক জামা পরা এক ব্যক্তি। চোখেমুখে আতঙ্ক রয়েছে তাঁর। তিনি বললেন, “পিছনের গাড়িতেই ছিলাম, হঠাৎ দেখলাম আগুনের গোলা।” সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির বিস্ফোরণ হওয়া গাড়ির ঠিক পিছনের গাড়িতেই ছিলেন তিনি।
নয়ডা থেকে কোনও কাজের জন্য দিল্লিতে এসেছিলেন ভূপেন্দর সিং। মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তি এদিন সন্ধ্যায় গাড়ি করেই নিজের গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম। সিগন্যাল লাল হয়েছিল। সেজন্য একটি গাড়ি ধীর গতিতে এসে থামে। ঠিক পিছনের গাড়িতেই ছিলাম আমি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। হঠাৎ দেখলাম আগুনের গোলা।” বিস্ফোরণের পরেই গোটা এলাকা কেঁপে উঠেছিল। আতঙ্কে মানুষজন ছুটোছুটি করতে থাকেন। দাউদাউ করে জ্বলছিল গাড়ি। মৃতদেহ ছড়িয়েছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় কিছু সময় পরেই।
কিছু সময় থেমে ভূপেন্দর সিং বলেন, “বিস্ফোরণের শব্দে কার্যত কানে তালা ধরে গিয়েছিল কিছু সময়। বিস্ফোরণ হওয়ার পরেই গাড়ির দরজা খুলে রাস্তাই নামি। এরপর সোজা ছুটে পালাই। পরে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি।” কথা বলার সময় কিছুটা জড়িয়ে যাচ্ছে তাঁর। মোবাইল ফোনে একের পর এক ফোনও আসছে পরিবার-পরিজনদের। ফের তিনি বলেন,” বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বহু গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। প্রায় ২ কিলোমিটার দূর থেকে ওই বিস্ফোরণ শোনা গিয়েছে। বোমা নাকি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ কিছুই বুঝতে পারিনি। তবে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” ভূপেন্দর আরও বলেন, “বিস্ফোরণের খবর পেতেই বাড়ির লোকজন ফোন করতে শুরু করেছেন। ঠিক আছি কিনা খোঁজ করছেন। সকলকেই জানিয়েছে, বিস্ফোরণ হয়েছে। ঠিক আছি।”