সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজ চালু হয়নি। বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে বলে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ প্রশাসনিক প্রধানের। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। সেখান থেকেই একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে একহাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ের পরেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সাহায্য করেনি বলেও এদিন অভিযোগ করেন তিনি। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
আজ, সোমবার দুপুরে বাগডোগরা হয়ে উত্তরবঙ্গে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরকন্যা থেকে সরাসরি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতে যোগ দেন। একইসঙ্গে দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়েও খোঁজখবর নেন। সেখান থেকেই ফের একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সুর চড়ান প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, ”চার বছর ধরে সব টাকা বন্ধ। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ১০০ দিনের টাকা চালু করা হয়নি।” যদিও বিকল্প কর্মশ্রী প্রকল্প চলছে। তাতে মানুষ কাজ পাচ্ছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ১০০ দিনের বকেয়া মেটাতে ইতিমধ্যে হাই কোর্টের রায়কে বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। তা তুলে এদিন ফের কেন্দ্রকে তোপ প্রশাসনিক প্রধানের।
অন্যদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ”জিএসটির টাকা বাংলার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না।” এমনকী আবাসনের কোনও টাকাও দেওয়া হচ্ছে না বলে এদিন সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”কেন্দ্রের টাকা বন্ধের পরেও আবাসন নির্মাণে যোগ্য ১২ লাখ পরিবারকে মোট ১৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।” এমনকী আগামী ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির মধ্যে আরও ১৬ লাখ পরিবারকে অর্ধেক বাড়ির টাকা দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটির বেশি লোকেদের জন্য বাড়ি তৈরি করা হয়েছে বলেও এদিন জানান তিনি।
পাশাপাশি শস্য বিমা থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্পের কথাও এদিন তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও এদিন উত্তরবঙ্গের বন্যা নিয়েও সরব হন তিনি। বলেন, ”কখনও সিকিমে ১৪টা হাইডেল পাওয়ার করেছে। জল ব্লক করে দিয়েছে। আর জল হলেই সব চলে আসছে। কখনও দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি আবার কখনও নকশালবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।” এমনকী তিস্তাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ প্রশাসনিক প্রধানের। বলেন, ”তিস্তাকে ব্লক করে দিয়েছে। এটা সামাজিক অপরাধ।” এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকী ডিভিসি, মাইথন, পাঞ্চেতের পরিস্থিতি নিয়েও এদিন ফের একবার সরব হন তিনি। কেন ড্রেজিং হবে না তা নিয়েও ফের একবার সরব হন।