সীতামারি: সীতা মায়ের জায়গা। বিহারের সীতামারি জেলার পরিহার বিধানসভা কেন্দ্রের পরিচয় এটাই। কয়েক পা দূরেই ৮০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি হচ্ছে সীতামন্দির। এবার এই কেন্দ্রে যে তিন হেভিওয়েট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁরা সকলেই মহিলা। আর সম্ভবত এই কারণেই বিহারের ভোট-রাজনীতির চর্চায় উঠে এসেছে এই কেন্দ্র। বর্তমানে এই কেন্দ্রের বিধায়ক বিজেপির গায়ত্রী দেবী। হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে এবারও ময়দানে নেমেছেন তিনি। পুনর্বিন্যাসের পর পরিহার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০১০ সালে জয়ী হন গায়ত্রীদেবীর স্বামী রামনরেশ যাদব। তারপর ২০১৫ সালে এই কেন্দ্রে গায়ত্রীকে টিকিট দেয় বিজেপি। সেই সময় তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন আরজেডির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি রামচন্দ্র পুরবে। জয় পান গায়ত্রী। গত বিধানসভা ভোটে (২০২০) আরজেডি প্রার্থী রীতু জয়সওয়ালকে ২ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন গায়ত্রী।
এবারের ভোটে রীতু অবশ্য আরজেডি থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা নির্দল হিসেবে লড়ছেন। কারণ, এবার রামচন্দ্রের পুত্রবধূ স্মিতা পুরবেকে এই কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়েছে লালুপ্রসাদের দল। এনিয়ে সাংবাদিকদের রীতু বলেছেন, ‘এলাকার মানুষ ও সমর্থকরা আমার উপর আস্থা রেখেছেন বলেই আমি ভোটে লড়ছি। গত বিধানসভা নির্বাচনে ওঁরা আমার জন্য যে লড়াইটা করেছিলেন, তা আমি ভুলি কী করে! গতবার একেবারেই সামান্য ব্যবধানে হেরেছিলাম আমি।’ অন্যদিকে, স্মিতা আবার শ্বশুরের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। ভোট-বৈতরণী পেরতে আরজেডির চিরাচরিত মুসলিম-যাদব ভোটব্যাংকই তাঁর বড় ভরসা। যদিও রীতু এবং স্মিতা দু’জনেই বৈশ্য সম্প্রদায়ের। আর পরিহার কেন্দ্রে এই সম্প্রদায়ের মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিজেপি প্রার্থী গায়ত্রী দেবী আবার যাদব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। যাদবদের ভোটব্যাংক তাঁর সঙ্গেই থাকবে বলে আশাবাদী তিনি। একই সঙ্গে রীতু ও স্মিতার লড়াই তাঁর জয়ের সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করেছে বলেই দাবি গায়ত্রীর।
প্রভাবশালী এই তিন নারীর ভোট-যুদ্ধে শেষমেষ শিঁকে ছিড়বে কার ভাগ্যে? সেদিকেই তাকিয়ে পরিহার।