দিল্লির নেহরু স্টেডিয়াম গুঁড়িয়ে দেবে কেন্দ্র, হবে স্পোর্টস সিটি
বর্তমান | ১১ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: এবার কি নেহরুর নামাঙ্কিত আরও একটি অস্তিত্ব মিটিয়ে দিয়ে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি? ১৯৮২ সালে এশিয়ান গেমসের সময় তৈরি দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম এবার গুঁড়িয়ে দেওয়ার তোড়জোর শুরু হয়েছে। ওখানে হবে স্পোর্টস সিটি। সোমবার মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। কেন আচমকা এই সিদ্ধান্ত? কেনই বা ভাঙতে হবে ওই উল্লেখযোগ্য স্টেডিয়াম? ২০১০ সালেই কমনওয়েল গেমসের সময়ে যা প্রায় ৯০০ কোটি টাকা খরচ করে করা হল অত্যাধুনিক?
মন্ত্রকের এই সূত্রের বক্তব্য, ‘১০২ একর জমির মাত্র ২৮ শতাংশ এখন ব্যবহার হয়। বাকিটা পড়ে রয়েছে। তাই পুরো জায়গাটিকে কী করে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে গিয়েই ঠিক হয়েছে ওখানে হবে স্পোর্টস সিটি। যেখানে সব ধরনের খেলাধূলার স্টেডিয়ামও থাকবে, আবার খেলোয়াড়দের অস্থায়ী থাকার ব্যবস্থা। প্রায় তিন হাজার খেলোয়াড় একত্রে থাকতে পারবে। কোনওভাবেই জায়গা ফেলে রেখে নষ্ট করা যাবে না।
তবে কি স্পোর্টস সিটির নামও বদলাবে? হবে ‘নমো স্পোর্টস সিটি’ জাতীয় কিছু? জানতে চাওয়ায় সরকারের এই সূত্রর রহস্যময় জবাব, এখনই সব বলে দেওয়া যায় নাকি। তাছাড়া রাতারাতি তো হচ্ছে না। সময় লাগবে কয়েক বছর। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্পোর্টস সিটি হবে। বিস্তারিত রোড ম্যাপ এখনও তৈরি হয়নি। খরচপাতিও নয়। যদিও কীরকম হতে পারে স্পোর্টস সিটি, তার নমুনা দেখতে কয়েকদিন আগে কাতারের রাজধানী দোহা ঘুরে এসেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখভাই মাণ্ডব্য। কাতার এবং অস্ট্রেলিয়ার মডেলেই হবে দিল্লির স্পোর্টস সিটি।
পাশাপাশি, ক্রীড়া বিষয়কে আরও চাঙ্গা করতে সরকার বিভিন্ন খেলায় কোচ নিযোগ করতে চলেছে। স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে ৩২০ জন সহকারী কোচের পদ পূরণ করা হবে। ২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতের রূপরেখা তৈরি করতে সরকারি উদ্যোগে উদীয়মান তরুণতরুণী অন্বেষণও শুরু করেছে কেন্দ্র। সম্প্রতি রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আড়াই লক্ষ তরুণতরুণীকে বেছেছে সরকার। যার মধ্যে থেকে আগ্রহীদের তালিকায় প্রথম পাঁচে রয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং পশ্চিমবঙ্গ।