• সহজে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির জন্যই ডাক্তারদের দলে টানছে জঙ্গি সংগঠন
    বর্তমান | ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: জঙ্গি সংগঠনগুলি কি এবার মগজধোলাইয়ের জন্য চিকিত্সকদের টার্গেট করছে? সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গত চারদিনে চারজন চিকিত্সকের ধরা পড়ার ঘটনায় এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে তিনজন চিকিত্সককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কিলোগ্রাম বিস্ফোরক। অন্যদিকে, অন্য ঘটনায় গুজরাত থেকে এক আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত এটিএস। ওই চিকিত্সকের থেকে উদ্ধার হয় সায়ানাইডের থেকেও প্রাণঘাতী বিষ তৈরির কাঁচামাল। তদন্তে উঠে এসেছে, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের জঙ্গি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলত এই চিকিত্সকরা। কিন্তু জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছে চিকিত্সকদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন?

    এক্ষেত্রে একাধিক সম্ভাবনা উঠে আসছে। তদন্তকারীদের মতে, সাধারণভাবেই চিকিত্সকরা উচ্চশিক্ষিত হন। তাই তাদের পক্ষে সাধারণ মানুষের মধ্যে জঙ্গি ভাবাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া সহজ। সাধারণ চিকিত্সকদের সহজে বিশ্বাসও করে। ফরিদাবাদ থেকে ধৃত চিকিত্সকদের একজন সরকারি হাসপাতালে কাজ করত, অন্যজন ইমার্জেন্সি বিভাগের দায়িত্বে ছিল। ফলে প্রতিদিনই বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলত তারা। সেই সুযোগে তারা জঙ্গি ভাবাদর্শ ছড়িয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ওই চিকিত্সকদের সঙ্গে বিদেশেও বহু মানুষের যোগাযোগ থাকে, সেই সুযোগেও টাকা জোগাড়, টাকা পাচারেরে মতো কাজ সহজে করা সম্ভব। আর তৃতীয় সম্ভাবনা নিয়েই বেশি চিন্তিত তদন্তকারীরা। তাঁদের মতে, বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার সুবাদে এই চিকিত্সকদের প্রত্যেকেই রাসায়নিক ও বিস্ফোরকের ব্যবহার জানেন। তাই তাদের সাহায্য নিয়ে সহজেই রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। ডাঃ আদিল ও ডাঃ মুজাম্মিল তদন্তে জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের কেউ সহজে সন্দেহ করে না। তাই পাক হ্যান্ডলাররা তাঁদের বেছে নিয়েছিল। দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা ছড়ানোর পরিকল্পনাও ছিল পাকিস্তানের। মুজা.ম্মেলের সহকারী মহিলা চিকিৎসক শাহিন শাহিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই তিন চিকিৎসকের মগজ ধোলাইয়ের পিছনে রয়েছে ইরফান আহমেদ নামে মৌলবী। ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি জাকির মুসার ঘনিষ্ঠ ইরফান।
  • Link to this news (বর্তমান)