• দীর্ঘদিন বকেয়া ৫০ লক্ষ, কলকাতায় ৭০ বেসরকারি ‘অ্যাড-স্পেস’ ভাঙল পুরসভা
    বর্তমান | ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরজুড়ে যত্রতত্র বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ে দৃশ্যদূষণ বাড়ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বয়ং বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে শহরকে বিজ্ঞাপনের দৃশ্যদূষণের হাত থেকে রেহাই দিতে একাধিক পদক্ষেপ করে চলেছে কলকাতা পুরসভা। কোনও কোনও এলাকাকে সম্পূর্ণ ‘নো হোর্ডিং জোন’ যেমন করা হচ্ছে, তেমনই খতিয়ে দেখা হচ্ছে শহরের যত্রতত্র বেসরকারি বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাঠামোগুলির হালচাল। তা করতে গিয়েই নজরে এসেছে, রাস্তার ধার, খালি জমি থেকে শুরু করে পুরোনো বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য বেসরকারি ‘অ্যাড-স্পেস’ রয়েছে। কিন্তু সেগুলির লোহার কাঠামো অনেক জায়গাতেই খালি পড়ে থাকছে বা ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন এসব স্পেসে বিজ্ঞাপন লাগানো হয় না। এমনকি, বিজ্ঞাপন থাকলেও বছরের পর বছর ধরে পুরসভা তা থেকে কোনও ফি পায় না। তাই বিভিন্ন বেসরকারি বিজ্ঞাপন সংস্থার আওতাধীন এই ধরনের ‘অ্যাড-স্পেস’ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছরে শহরজুড়ে এমন প্রায় ৭০টি বেসরকারি বিজ্ঞাপনী হোর্ডিংয়ের কাঠামো খুলে ফেলা হয়েছে। সেই সঙ্গে আদায় করা হয়েছে বিজ্ঞাপন বাবদ বকেয়া ফেলে রাখা ফি। 

    সম্প্রতি বেহালার সখেরবাজার, চৌরাস্তা এবং তারাতলা রোডে এমন বেশ কয়েকটি অ্যাড-স্পেস খুলে দিয়েছে পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ। লাগাতার এই অভিযান চলছে। এক আধিকারিক বলেন, ‘যত্রতত্র বিজ্ঞাপনের স্থায়ী কাঠামো অর্থাৎ লোহার ফ্রেম তৈরি করে সেখানে বিজ্ঞাপন দেওয়ার চল রয়েছে। আমরা শহরকে দৃশ্যদূষণ থেকে দূরে রাখতে চাইছি। তাই নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় বেসরকারি বিজ্ঞাপনের কাঠামো না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ সেই সূত্রে এমন বহু বেসরকারি বিজ্ঞাপনী কাঠামো চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে হয় বহুকাল বিজ্ঞাপন লাগানো হয় না বা যেসব বিজ্ঞাপন সংস্থা এই স্পেসগুলি ব্যবহার করে, তারা বছরের পর বছর পুরসভাকে বিজ্ঞাপন বাবদ কোনও ফি দেয় না। পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগের এক কর্তার কথায়, ‘গত এক বছরে প্রায় ৭০টি এমন বেসরকারি অ্যাড-স্পেস ভাঙা হয়েছে। এগুলির বিজ্ঞাপন থেকে ফি বাবদ পুরসভার কাছে বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির বকেয়া ছিল প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। আগামী দিনে এই অভিযান লাগাতার চলবে। অনেক বিজ্ঞাপন সংস্থারই পুরসভাকে ফি দেওয়া নিয়ে এলার্জি রয়েছে। কড়া অবস্থা না নিলে সেই মনোভাব পাল্টাবে না। গত এক বছরে অভিযান চালিয়ে অনেক জায়গা থেকে পাওনা আদায়ও করা গিয়েছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)