উদ্ধার প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক, জালে দুই ‘জঙ্গি’ চিকিৎসক, দিল্লি কাণ্ডের নেপথ্যে ফরিদাবাদ চক্র?
প্রতিদিন | ১১ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং হরিয়ানা পুলিশের একটি যৌথ দল হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ৩৫০ কেজি অ্যামনিয়াম নাইট্রেট, একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল-সহ প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করে। তারপরই অন্য একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরও ২৫০০ কেজি বিস্ফোরক। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই ‘জঙ্গি’ চিকিৎসক-সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাহলে কি এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে ফরিদাবাদ চক্র?
দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় জঙ্গিযোগের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট না হলেও নাশকতার দিকটি উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। যে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মালিককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম নাদিম খান। ঘটনাচক্রে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন সেই ফরিদাবাদ থকেই। তাতেই সন্দেহ বাড়ছে তদন্তকারীদের। তবে নাদিমের দাবি, তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক বাসিন্দা তারিককে গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এখান থেকেই আরও একটি প্রশ্ন উঠছে, দিল্লির এই ঘটনার সঙ্গে পুলওয়ামার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। যদিও প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার সঙ্গে ফরিদাবাদ চক্রের যোগসূত্রকেই গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর সন্দেহভাজন ‘জঙ্গি’ চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিলের দ্বিতীয় বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এই বাড়িটি ফতেহপুর তাগা গ্রামে অবস্থিত। সেখানেই পাওয়া যায় আরও ২৫৬৩ কেজি বিস্ফোরক। সব মিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক। এই সমস্ত বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যা আইইডি বোমা তৈরির উপকরণ। মনে করা হচ্ছে, ভারতের মাটিতে বড়সড় নাশকতা ছড়াতে এই সব বিস্ফোরক মজুত করেছিল ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক শাকিল।