• লালকেল্লা বিস্ফোরণে স্টিয়ারিং ছিল পুলওয়ামার ডঃ উমরের হাতেই? ছবি প্রকাশ তদন্তকারীদের
    এই সময় | ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • সাদা রঙের হুন্ডাইয়ের একটি i-20 গাড়ি। দিল্লি লালকেল্লায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পিছনে এই গাড়িটিই ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এ বার সামনে এল সুইসাইড বম্বারের চেহারা। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িতে থাকা ওই ব্যক্তিও চিকিৎসক বলে দাবি তদন্তকারীদের।

    সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম প্রায় ২০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল এই সন্দেহভাজন ডঃ উমরের হাতে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা তিনি। দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি পুলওয়ামার বাসিন্দা তারিক নামে এক যুবককে বিক্রি করা হয়েছিল শেষবার। সেটাও ভুয়ো নথি দিয়ে।

    তদন্তে প্রকাশ, গাড়িটি লালকেল্লার অদূরে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা গিয়েছে দুপুর ৩:১৯ থেকে সন্ধ্যা ৬:৪৮ পর্যন্ত লালকেল্লার এক নম্বর গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। বিস্ফোরণের ঠিক আগেই চলতে শুরু করে গাড়িটি। তার পরেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লালকেল্লা চত্বর।

    এই ঘটনা আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা কি না এই নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা না হলেও তথ্যপ্রমাণ সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। তবে এই ঘটনার দায় এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন স্বীকার করেনি। তবে দিনক্ষণের যোগসূত্রে অনেকের মনেই উস্কে দিয়েছে ১৭ বছর আগের নভেম্বরের ভয়ঙ্কর স্মৃতি। ২৬/১১-র মুম্বই হামলার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ১০/১১-য় দিল্লি!

    জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর প্রথম তল্লাশিতে নেমে হুন্ডাই আই-২০, নম্বর HR26CE7624 গাড়ির মালিক সন্দেহে মহম্মদ সলমন নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। গাড়ির RC-ও উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু পরে জানা যায় সলমন গাড়ির মালিক নন। RC-ও ভুয়ো। আসলে সলমনের নামে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে সেটা অন্য কাউকে গাড়িটি বিক্রি করা হয়েছিল। এর পরে একাধিক বার গাড়িটি হাত বদল হয়। শেষে ভুয়ো নথি বানিয়ে বিক্রি করা হয় পুলওয়ামার তারিককে। কিন্তু গাড়ির আসল মালিক কে, সেটা এখনও ধোঁয়াশাই। 

  • Link to this news (এই সময়)