• অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তি নিতে ‘আপত্তি’, প্রধান শিক্ষিকাকে ওঠবোস করালেন জলপাইগুড়ির পুরপ্রধান!
    প্রতিদিন | ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: চাপের কাছে নতিস্বীকার না করার জের? প্রধান শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবোস, সহ প্রধান শিক্ষিকাকে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। গত ৪ জানুয়ারির ঘটনা। দশ মাস পর ভিডিও ভাইরাল। ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ উঠল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গে থাকাকালীন এই ধরনের ভিডিও ভাইরাল করার নেপথ্য কারণ রাজনৈতিক চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয় বলেই দাবি পুরপ্রধানের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা মহলে।

    জলপাইগুড়ির সুনীতিবালা সদর গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস। তিনি জানান, ওই স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা ২ হাজার ৩৬৪। শিক্ষক, শিক্ষিকার সংখ্যা ৩৯ জন। এমনিতেই ক্লাস নিতে সমস্যা হয় তাঁদের। তার উপর আরও ১২৫ জন ছাত্রীকে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা বর্তমান চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। প্রধান শিক্ষিকা রাজি হননি। তা নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সংঘাত। আচমকা গত ৪ জানুয়ারি স্কুলে আসেন পুরপ্রধান। অভিযোগ, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। কান ধরে ওঠবোসও করান পুরপ্রধান। শুধু তাই নয়, ছবিতে পা ধরতে দেখা গিয়েছে সহ প্রধান শিক্ষিকা অরুণিমা মৈত্রকে। তিনি জানান, ওই সময় নিতান্ত বাধ্য হয়েই এই কাজ করেছিলেন তাঁরা।

    প্রধান শিক্ষিকা জানান, সেদিন অফিস রুমের সিসিটিভি ফুটেজ স্কুল শিক্ষাদপ্তর-সহ একাধিক জায়গায় পাঠিয়ে বিচারের আর্জি করেছিলেন। কিন্তু কেউ কোনও গুরুত্ব দেননি। এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন তিনি। তার আগেই সেই ছবি বিরোধী দলনেতা X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। তবে কীভাবে এই ছবি বিরোধী দলনেতার কাছে গেল, স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ছবি ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্তিতে প্রধান শিক্ষিকা। তাঁর দাবি, এই ছবি নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ছাড়া আর কোথাও দেননি। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ছবি গেল তা তিনি জানেন না। পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায় অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)